বিশ্বের একটি বহুল বিতর্কিত হলো প্রশ্ন ডিম (Egg) আগে না মুরগি (Hen) আগে? এর সঠিক উত্তর জানা নেই কারো। আর এই বিতর্কটা মূলত ডিম আর মুরগির আবির্ভাব নিয়ে। ডিম আগে নাকি মুরগি আগে। আবহমান কাল থেকে উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। এই ধাঁধার সমাধান করতে গিয়ে বহু বিজ্ঞানী থেকে সমাজতত্ত্ববিদ বিস্তর হিমশিম খেয়েছেন। যুক্তি দিয়ে এই জটিল প্রশ্নের উত্তর বের করা কার্যত অসম্ভব।
ডিম আগে না মুরগি আগে নিয়ে খ্রিষ্টপূর্ব থেকে বহু দার্শনিক আর গবেষকদের Apple of Discord হয়ে আছে এই কথা। এই ধরনের উভয়সংকট প্রশ্নগুলোকে Casualty dilemma বলা হয়। এই টাইপের ডায়ালেমাগুলো খুব মজার অবশ্য। তবে এদিন ধরে অধিকাংশ বিজ্ঞানী তাদের ব্যাখ্যায় বলে আসছিলেন ডিম-ই আগে এসেছে। তবে সম্প্রতি ChatGPT এর কাছে রাখা হয়েছিল এই প্রশ্ন। আর সে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ডিম আগে নাকি মুরগি আগে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানেরই সাহায্য নেয় চ্যাটজিপিটি। চ্যাটজিপিটি বলে, বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বলতে গেলে বহুদিন আগে একজন জীববিজ্ঞানী উত্তর দিয়েছিলেন, ডিম আগে এসেছে। কারণ, একটি ব্যাকটিরিয়া ডিমের ভিত্তি তৈরি করেছিল, যা আসলে একটি গঠন। সেই ডিম থেকেই জন্ম নেয় মুরগি। এই কারণ ব্যাখ্যা করেই মুরগির আগেই যে ডিমের আগমন হয়েছে, সেই বিষয়টি পরিষ্কার করে চ্যাটজিপিটি।
এখানে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আরও একটা যে প্রশ্ন চলে আসে, ChatGPT-কেও সেই একই প্রশ্ন করা হয়। মুরগি ছাড়া তার ডিম এই পৃথিবীতে এলটা কীভাবে? তখন সে জানায়, শতাব্দী প্রাচীন এই প্রশ্নের আসলে নির্দিষ্ট কোনও উত্তর নেই। কিন্তু বায়োলজিক্যাল দিক থেকে দেখতে গেলে ডিমই প্রথম পৃথিবীতে এসেছিল এবং তা-ই সর্বাধিক ভাবে মানুষের দ্বারা গৃহীত।
প্রসঙ্গত, ইংরেজি ভাষায় Chat GPT-এর পূর্ণরূপ হল Chat Generative Pre-trained Transformer। এটি ওপেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক ধরনের চ্যাট বট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে এটি শুধুমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর কাজ করবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আপনি সহজেই শব্দ বিন্যাসে এটির মাধ্যমে কথা বলতে পারেন এবং আপনার যে কোনও ধরণের প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আমরা যদি একে সার্চ ইঞ্জিনের ধরন হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে এতেও কোনো অত্যুক্তি হবে না।