বর্ষাকালে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা বিশ্ব এখন কার্যত ধুঁকছে কোভিড-১৯ এর মারণ থাবায়। আমাদের দেশ সেই মারণ থাবার শিকার হয়েছে। ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ২৮০০০ ছুঁতে চলেছে। এখন তো গ্রীষ্মকাল কিন্তু সামনে জুন মাস এলেই বর্ষাকাল চলে আসবে। বর্ষাকালে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ ঠিক কোনখানে গিয়ে দাঁড়াবে! এনিয়ে এখনই প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা শুরু হয়ে গেছে। আজ ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এইকথাই বললেন প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।

আমরা প্রত্যেকেই জানি, বর্ষাকালে সংক্রামক জীবাণুদের উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়ে যায় গ্রীষ্মকালের তুলনায়। সে ক্ষেত্রে বর্ষাকালে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন প্রত্যেকটি রাজ্যের সরকারকে। বর্ষার সময় যাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বেশি পরিমাণে নেওয়া হয় সে কথা তিনি প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের কাছে পরিষ্কার করে বলে দেন।

আবহাওয়ার বদল ভাইরাসের বাড়বৃদ্ধির বড় কারণ হতে পারে। এমনিতেই বর্ষাকালে সংক্রামক জীবাণুদের উপদ্রব বাড়ে, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, আবহাওয়ার বদলের ব্যাপারটা মাথায় রেখেই লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। বিশেষ করে বর্ষার সময় অনেক বেশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যগুলিকে।

৩ মে’র পর লকডাউন পুরোপুরিভাবে উঠছে না। হটস্পট এলাকাগুলিতে লকডাউন অব্যাহতি থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন যে আগস্ট মাস অবধি করোনার সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাবে এবং সেই কারণে রাজ্যগুলি যেন সেই কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তিনি বলেন কৌশল অবলম্বন করতে হবে এবং এই ভাবেই রেড জোনগুলিকে অরেঞ্জ জোন এবং অরেঞ্জ জোনগুলিকে গ্রীন জোন করে তুলতে হবে। এই সঙ্গে তিনি দীর্ঘ লকডাউনের উপকারিতাকেও স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে দীর্ঘ এই সময় লকডাউনের ফলে কয়েক হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। দো গজ দূরি’কে মন্ত্র হিসেবে আওড়ানোর কথা বলেন তিনি। অর্থাৎ সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন তিনি।

এছাড়াও তিনি বলেছেন যে সামনের মাস থেকে প্রত্যেকটি মানুষ যেন মুখ ঢাকার মাস্ক পড়ে। মাস্ক যেন সমাজ জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় এই বিষয়টিও এখন নজর রাখতে হবে। মানুষ তখনই রাস্তাঘাটে মাস্ক পড়ে বেরোবেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন যখন তার মধ্যে করোনা নিয়ে সঠিক সচেতনতা পৌঁছে দেওয়া যাবে তাই মানুষকে করোনা সম্পর্কে আরো বেশি পরিমাণে সচেতন করার কথা বলেন তিনি। তাই লকডাউনকে দয়া করে হেলাফেলা ভাবে নেবেন না লোকজনকে মেনে চলুন নিজেও সুস্থ থাকুন এবং নিজের দেশকেও সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিন।