পেট্রোল ডিজেল অতীত, এবার গোবরে চলবে গাড়ি, অভিনব পরিকল্পনা

পেট্রোল ডিজেলের দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় গাড়ি তৈরির সংস্থা গুলি ইলেকট্রিক, বিদ্যুৎচ্চালিত গাড়ি বানানোর কথা ভাবছে। তবে সকলের থেকে অন্য রকম ভাবনা ভাবছে মারুতি সুজুকি। তারা বাজারে বায়োগ্যাস চালিত গাড়ি নিয়ে আসার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই মারুরি সুজুকি গোবরের মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য একটি চমৎকার পরিকল্পনা করেছে। খুব তাড়াতাড়ি গোবর বায়োগ্যাস চালিত বিকল্প জ্বালানির বন্দোবস্ত করতে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং বনাস ডেয়ারির মতো কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতেও চলেছে। আবার জাপানের Fujisan Asagiri Biomass সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছে মারুতি সুজ়ুকি। আর এই সংস্থাটি নাকি কেবল গোবর বায়োগ্যাসই উৎপন্ন করে।

যদিও এখনও মারুতি সুজ়ুকির এই গোবর বায়োগ্যাস ব্যবহারের পরিকল্পনাটি পরীক্ষার স্তরেই রয়েছে। তার কারণ, সংস্থাটিকে এখন গোবর বায়োগ্যাসের খরচ, ইঞ্জিনে তার প্রভাব-সহ আরো অন্যান্য বিষয়ে কাজ করতে হবে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে হয়তো গোবর বায়োগ্যাস চালিত গাড়ি বাজারে আনতে পারে মারুতি।

সম্প্রতি ক্লিনার ফুয়েল বিকল্পগুলিতে ফোকাস করার কথা বলেছে মারুতি সুজুকি। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই তারা বায়োগ্যাস তৈরিতে গোবর ব্যবহার করবে, যা ভবিষ্যতে সিএনজি গাড়ি চালানোর কাজে ব্যবহার হতে পারে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর সিএনজি গাড়িগুলিকেই চালাতে সংস্থাটি এবার বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের কথা ভাবছে এই সংস্থাটি।

এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকি জানিয়েছে যে, পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সুজুকি এই উদ্যোগ নিতে চলেছে। আর তাদের এই বায়োগ্যাসের অন্যতম উৎস হল গোবর। তারা আরো বলেছে যে, দেশের গ্রামাঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ মানুষই গোবরকে বর্জ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু যদি এই প্রযুক্তিতে গাড়ি চালানো যায় তবে দেশে গোবর কেনাবেচার পরিমাণও ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাবে।

তবে এই ভাবনা যে শুধু ভারতের বাজারেরই চাহিদা মেটাবে, এমনটা নয়। বরং, পৃথিবীর অন্য দেশে যেখানে কৃষি ও ফার্ম ব্যবসা অনেক বেশি, যেমন আফ্রিকা, জাপান ও এশিয়ার অনেক অঞ্চলেই রফতানি করা যাবে গাড়ির এই মডেলগুলি।