নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। তবে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আপাতত শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ হিসাবেই আছড়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে সরাসরি বাংলার উপর এর প্রভাব পড়বে না বলেই প্রথম থেকেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
IMD তরফ থেকে শেষ আপডেট পাওয়া অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়ে আপাতত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ছাড়িয়ে মায়ানমার ও দক্ষিণ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল দুপুর বেলা এই নিম্নচাপ অতিক্রম করবে মায়ানমারের থাণ্ডে।
প্রথমেই বলা হয়েছিল সোমবার রাতেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর ৪৮ ঘন্টা ধরে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বরাবর মায়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। তবে এখন এটি অতি গভীর নিম্নচাপ রূপেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিসের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের কোন জায়গাতে লক্ষ্য করা যাবে না বলেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। যে কারণে আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি জেলার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পিন্টু বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না। আগামী কয়েকদিন যেভাবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি রয়েছে তেমনই থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।