বাংলার দিকে মুখ ঘুরালো ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, প্রবল ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্বাভাস মতোই বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে চলেছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ওড়িশা উপকূলে হতে পারে এমনটা প্রথম থেকে ভাবা হলেও তা নাও হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। এমনই আশঙ্কার কথা বলেছেন আবহবিদ মহেশ পালাবত।

মাত্র দুই ঘন্টা আগে তিনি যে আপডেট দিয়েছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, তার আশঙ্কা এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ওড়িশা উপকূলে নাও হতে পারে। আজ দুপুরের পরেই এই ঘূর্ণিঝড় পুরীর কাছাকাছি এসে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর ফলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

তবে এর পাশাপাশি তিনি পরবর্তী আপডেট হিসাবে জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র জলের তাপমাত্রা কমার কারণে এই ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ-এর শক্তি হারানোর প্রবল সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। শক্তি হারালে এই ঘূর্ণিঝড় পুরি উপকূলে আছড়ে পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসবে গভীর নিম্নচাপ রূপে। তা সত্ত্বেও ক্ষয়ক্ষতির বিপুল আশঙ্কা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রত্যেককে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।

বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ-এর অবস্থান সম্পর্কে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যা জানা গিয়েছে তা হল, এটি বর্তমানে বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ পূর্ব অংশ থেকে ২৫০ কিমি দূরে এবং পুরীর দক্ষিণ পশ্চিম অংশ থেকে ৪৩০ কিমি এবং দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম পারাদ্বীপ থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে সকল জেলায় দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে সেগুলির মধ্যে শনিবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুরে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। রবিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়ায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে মালদহে।