রেল যাত্রায় স্বাচ্ছন্দের দাবিতে ডেপুটেশন

লাল্টু : দুবরাজপুর রেল স্টেশনের উপর নির্ভরশীল এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, রেল স্টেশন থেকে রেল যাত্রা কোথাও স্বাচ্ছন্দ্য নেই দুবরাজপুরের বাসিন্দাদের। তাই স্বাচ্ছন্দ্যের দাবিতে দুবরাজপুর নাগরিক সমিতি শনিবার ৮ দফা দাবি জানিয়ে গণ ডেপুটেশন দেয় স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে আসানসােল ডিভিশনাল ম্যানেজারের উদ্দেশ্যে।

স্থানীয়দের দাবিগুলি হলো –

১) হাওড়া-রামপুরহাট ময়ুরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরার সংখ্যা কম। ফলে যাত্রীদের যাতায়াত কষ্টকর হয়। ট্রেনটি প্রায় ১১.৩০ মি নাগাদ হাওড়া পৌঁছায়। ফেরার সময় ৪.২০ মি.-এ হাওড়া থেকে ছাড়ে। কাজকর্ম সেরে যাত্রীদের ফেরার সময় হাতে কম সময় থাকায় অনেকের অসুবিধা হয়। ট্রেনটি যদি বেলা ১০টার মধ্যে হাওড়া পৌঁছায় এবং ফেরার সময় হাওড়ায় ৫.৩০ মি ছাড়ে।

২) লোকাল ট্রেন যা অন্ডাল থেকে সাঁইথিয়া যাতায়াত করে এদের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ট্রেনের টাইম টেবিলে সংশোধন। দুই-একটি ট্রেন দুর্গাপুর ও আসানসােল পর্যন্ত চালানো।

৩) পূর্বের সাঁইথিয়া থেকে আসানসোল পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনটিকে আবার চালু করা।

৪) সিউড়ি-হাওড়া প্রান্তিক এক্সপ্রেস (ট্রেন নং- ১৩০৫৩/৫৪) ভায়া বোলপুর যাতায়াত করে, যেটিকে ভায়া অণ্ডাল যাতায়াত করা হোক।

৫) অনেকগুলো দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন সাঁইথিয়া-অন্ডাল রুটে যাতায়াত করে। কিন্তু কোনাে ট্রেন দুবরাজপুর স্টেশনে দাড়ায় না। বনাঞ্চল এক্সপ্রেস এবং ১৩৪১৭/১৮ মালদা-দীঘা এক্সপ্রেস ও যে কোনাে একটি চেন্নাইগামী ট্রেনকে দুবরাজপুর
স্টেশনে দাঁড়ায় তার ব্যবস্থা করা হোক।

৬) ফুট ওভারব্রিজ খোলা অবস্থায় আছে। আচ্ছাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

৭) স্টেশনের সংযোগকারী রাস্তার নগ্ন অবস্থায় আছে। অবিলম্বে সংস্কার করা হোক। অপর প্রান্তে আর একটি রাস্তা প্রায় অবলুপ্ত হতে চলেছে।

৮) রাস্তার দুই দিকে সবুজায়নের ব্যবস্থা করা হোক।