সোমনাথের হাতেই এলো চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য! এই ISRO প্রধান কত বেতন নেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ সফল হতে না পারলেও ২০২৩ সাল ইসরোকে (ISRO) মুখ ফেরায় নি। এই বছর চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করার পাশাপাশি একগুচ্ছ রেকর্ড তৈরি করেছে ভারত। কম খরচে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানো থেকে শুরু করে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ সবই এসেছে ইসরো প্রধান এস সোমনাথের (S Somanath) হাত ধরে। এমন একজন ব্যক্তিকে এখন গোটা দেশ কুর্নিশ জানাচ্ছে, পাশাপাশি ইসরোর অন্যান্য বিজ্ঞানীদেরও বাহবা দিচ্ছেন সকলেই।

ইসরো প্রধান এস সোমনাথের হাত ধরে যখন এসেছে তৃতীয় চন্দ্রযানের সাফল্য ঠিক সেই সময় এই মানুষটিকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল বাড়ছে। তার সম্পর্কে জানতে আরও আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে দেশের মানুষদের। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মহাকাশ গবেষণাগারের একজন প্রধান হিসাবে তিনি কত টাকা স্যালারি অর্থাৎ বেতন পেয়ে থাকেন তা নিয়ে কৌতূহল যেন একটু হলেও বেশি।

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ হলেন একজন মহাকাশ প্রকৌশলী ও রকেট প্রযুক্তিবিদ। তিনি ২০২২ সালে কে শিভনের জায়গায় ইসরো প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি কেরলের টি কে এম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, কুইলন থেকে স্নাতক হন। পরবর্তীতে গতিবিদ্যা এবং নিয়ন্ত্রণে বিশেষত্ব সহ ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ব্যাঙ্গালোর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতকোত্তর হন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৫ সালে ব্যাঙ্গালোরের ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল প্রকল্পে প্রথম কাজ করেছিলেন।

তিনি তার প্রথম কাজ শুরু করতেই লঞ্চ ভেহিকেল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকটারাল ডিজাইল, স্ট্রাকচারাল ডাইনামিকস এবং পাইরোটেকনিক্সের উপর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের জন্য GSAT-MKII (F09)-এ, রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইটের জন্য GSAT-6A, PSLV-C41 উৎক্ষেপণ যান সহ বিভিন্ন প্রোজেক্টে। এরপরই ধাপে ধাপে তার কর্মজীবনে আসতে শুরু করে একের পর এক উন্নতি।

২০১০ সালে তিনি GSLV Mk-III লঞ্চ ভেহিকেলের প্রকল্প পরিচালক হন। ২০১৪ পর্যন্ত প্রপালশন, স্পেস অর্ডন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে তিরুবনন্তপুরমের ভ্যালিয়ামালায় লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক হন। এরপর ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারিতে তিনি নিযুক্ত হন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সভাপতি হিসেবে।

দেশের এত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি সামলাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার বেতন অনেক বেশি হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সূত্র মারফত তার বেতন সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে তিনি প্রতিমাসে ২.৫ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন। তবে শুধু এই টাকা নয়, এর পাশাপাশি তিনি সমস্ত ধরনের সুবিধা পান। আড়াই লক্ষ টাকা তার কেবলমাত্র বেসিক পে। এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ভাতা থেকে শুরু করে সুযোগ সুবিধা।