ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সম্পর্কে জানেন তো

নিজস্ব প্রতিবেদন : আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা এলেও নগদ এবং চেকের ব্যবহার এখনো কমেনি। বড় অংকের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত চেকের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কারণে বহু মানুষকেই চেক মারফত লেনদেন করতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই আবার দেখা যায় ব্ল্যাঙ্ক চেক সই করে গ্রাহকরা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের কি রায় রয়েছে তা সম্পর্কে জানা দরকার।

বিশ্বস্ততার খাতিরে অনেক মানুষকেই দেখা যায় ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে দিতে। সেই ব্ল্যাঙ্ক থেকে কেবলমাত্র গ্রাহকের সই থাকে। সম্প্রতি এই ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়া এবং সেই চেক বাউন্স হওয়া সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চেকের বিবরণ যিনি পূরণ করুন না কেন, যিনি ওই চেকের সই করছেন তাঁরই সমস্ত দায়িত্ব। অর্থাৎ ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়া অথবা অন্য কেউ বিবরণ পূরণ করলেও যিনি সই করবেন তিনি সমস্ত রকম দায়ভার নেবেন চেকের।

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চে একটি চেক বাউন্সের মামলার শুনানি চলাকালীন একথা জানিয়েছেন তাঁরা। এই মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী ব্যক্তি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তিনি সে কেবলমাত্র সই করে কোনরকম বিবরণ না ভরেই চেকটি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতিরা জানিয়েছেন, চেকটিতে যিনি স্বাক্ষর করেছেন এবং দিয়েছেন তিনিই দায়বদ্ধ হবেন।

দেশ জুড়ে চেক বাউন্স হওয়ার এমন অজস্র মামলা আদালতে ঝুলছে। সুপ্রিম কোর্ট এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সকল মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে দায়ভার স্বাক্ষরকারীর, এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে চেক দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাহককে সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও চেক লেখার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি মেনে চলা দরকার। সেই সকল নিয়ম সঠিকভাবে না মানলে সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা।