বৃষ্টি ভাল, কিন্তু অতিবৃষ্টি! দেখুন মানুষগুলোর কী পরিস্থিতি

লাল্টু: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দিন কয়েক ধরেই অতিবৃষ্টির কারণে প্লাবিত হতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন এলাকা। ঠিক সেই রকমই ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমে অতিবৃষ্টির কারণে একাধিক কজওয়ের উপর দিয়ে জল বইতে দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ কজওয়েতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে। সাধারণ মানুষদের পারাপার এখন রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলসাড়া গ্রাম ও মেজে গ্রামের মাঝে থাকা শাল নদীর কজওয়ের উপর দিয়ে বইছে জল। এই মুহূর্তে টানা বৃষ্টি, জলের তলায় চলে গেল কজওয়ে, দেখুন কতটা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে সাইকেল, বাইক বিপদসীমায় উপর জল বইছে। সাধারণ মানুষ অনেকেই ভয়ে পারাপার করছেন না, তবে যাদের খুবই দরকার তারাই একমাত্র জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেছেন। এই শাল নদীর কজওয়ের উপর দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করেন ফলে তারা অসুবিধায় পড়েছেন।

আরও পড়ুন: পুলিশ-বিজেপি তুমুল ধস্তাধস্তি! চলে বাকবিতণ্ডাও, কোথায় জানেন

ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে শাল নদীর জল বাড়ায় আজকে অনেকেই দৈনন্দিন কাজে যেতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে স্কুল পড়ুয়ারা। প্রায় ১০-১২টি গ্রামের মানুষ এই কজওয়ের উপর নির্ভর করেন। তারা প্রত্যেকেই অসুবিধায় পড়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই কজওয়ের উপর জল বইছে। কখনো বিপদ সীমার উপর আবার কখনো বিপদ সীমার নিচে জল বয়ে চলেছে। গ্রামের মানুষ এবার সুরাহা চাইছেন।

এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে খয়রাশোলের পানসিউড়ী-কেন্দ্রগড়িয়া রাস্তায় হিংলো নদীর কজওয়ের উপরে বইছে জল। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল, আর সেই কারণেই এই মুহূর্তে পারাপার পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। গতকাল রাতে হিংলো জলাধারের তিনটি গেট খোলা হয় এবং ৪৭০০ কিউসেক জল ছাড়া হয় হিংলো জলাধার থেকে।