লাঠি, বন্দুক ছেড়ে দুবরাজপুরে বেলচা হাতে পুলিশ, অবাক স্থানীয়রা

লাল্টু : কথায় আছে ‘বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা! পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ!!’ আর এই কারণেই পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে ভয় ভীতির কারণ। তবে এই পুলিশও বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা রূপে ধরা দেন তার উদাহরণও কম নেই। এই দেখুন না, বুধবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ লাঠি বন্ধু ছেড়ে বেলচা হাতে নেমে পড়লেন রাস্তায়! আর এইভাবে রাস্তায় নেমে পড়া দেখে স্থানীয়রা স্বাভাবিকভাবে অবাক হয়ে যান।

স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয় কেন পুলিশ আজ লাঠি, বন্দুক ছেড়ে বেলচা হাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন! রাস্তায় এইভাবে নেমে পড়ার কারণ ভগ্নপ্রায় রাস্তা মেরামতি। পুলিশ এদিন এইভাবে রাস্তা মেরামতিতে হাত লাগান মূলত পথ চলতি মানুষদের দুর্দশা দূর করতে। কারণ তারা এদিন যে রাস্তা মেরামতির জন্য হাত লাগান সেই রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল।

আমরা বলছি, দুবরাজপুর শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার কথা। কিছুদিন আগে এই রাস্তাটি রিপিয়ারিংয়ের কাজ করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে ধর্মশালা পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামতি করা হয়। আবার পোদ্দারবান্দ থেকে পাহাড়েশ্বর পর্যন্ত রাস্তা মেরামতি করা হয়। অথচ দুবরাজপুর পৌরসভা থেকে পোদ্দারবান্দ পর্যন্ত প্রায় দু’শ মিটার রাস্তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মেরামতি না করেই চলে যায়।

ফলে বেহাল হয়ে পড়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যায় সাধারণ মানুষ এবং গাড়িচালকদের কথা ভেবে দুবরাজপুর থানার পুলিশ উর্দি গায়ে, লাঠি, বন্দুক ছেড়ে বেলচাতে হাত লাগালো খানাখন্দ ভরাট করতে। দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনের নির্দেশমতো এই কাজ করেন পুলিশকর্মীরা।

পুলিশ এদিন খানাখন্দে চিপস ও ডাস্ট ফেলে খালগুলি ভরাট করে দেয়। পুলিশের এই কাজে সাধারণ বাসিন্দারা যেমন অবাক হন তেমনি তারা খুশিও হন। পুলিশ যে শুধু চোর-গুন্ডাদের ধরতেই ব্যস্ত তাই নয়, বহু সামাজিক কাজও করে থাকেন। আর এদিন এই যে কাজটি তারা করলেন তা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের করার কথা। বহুবার বলা সত্ত্বেও তা না করার জন্য, অবশেষে তা করে দেখাল দুবরাজপুর থানার পুলিশ।