বীরভূমে ইডির হানা, তালা ভেঙ্গে একের পর এক বাড়িতে তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারা দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি অর্পিতার বেলঘড়িয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং অন্যান্য সোনা ও বহুমূল্যবান জিনিসপত্র।

তাদের দুজনের গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নথি থেকে জানা যাচ্ছে তাদের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকায়। শান্তিনিকেতনের নাম তাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নজরে ছিল বীরভূম। এবার সেই মতো বুধবার সাত সকালে তারা বীরভূমে হানা দেন।

ইডি এবং সিবিআইয়ের ছয়টি দল বুধবার সকালে বীরভূমে হানা দিয়ে একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে একের পর এক জায়গায় ছুটতে শুরু করে। তাদের এক অংশ চলে যায় সিউড়ি এবং আরেক অংশ চলে যায় নানুরের বাসাপাড়ায়। এরপর শুরু হয় একের পর এক বাড়িতে তল্লাশি। সিউড়িতে পাথর ব্যবসায়ী টুলু মন্ডলের একাধিক বাড়িতে এবং নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের বাড়িতে হানা দেন এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

সিউড়িতে টুলু মন্ডলের সুভাষপল্লীর ডালিলা নামে একটি বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় ইডি। এরপর সেখানে তল্লাশি চালানোর পর তারা পৌঁছে যান ওই ব্যবসায়ীরই সাজানোপল্লীতে থাকা একটি বাড়িতে। সাজানোপল্লীর সেই বাড়ির মূল দরজা তালা বন্ধ থাকায় প্রথমে আধিকারিকরা প্রবেশ করতে পারেননি। পরে তালা ভাঙ্গার জন্য সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একজনকে আনা হয় এবং তিনি সেই তালা ভেঙে দিলে সেখানে প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

তবে কোন মামলার ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত তাদের হাতে কোন নথি অথবা অন্য কিছু এসেছে কিনা তাও সরকারিভাবে জানানো হয়নি।