The election commission will monitor the whole process on Liquor Sale during the election: সূরা প্রেমীদের মদ খাইয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করার অভিযোগ চলে আসছে বহু বছর ধরে। এই রাজ্য তার ব্যতিক্রম নয়। শাসক বিরোধী উভয়ের প্রতি এমন অভিযোগ উঠেছে বহুবার। ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য দেদার মদ বিলি করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলিকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন নির্বাচন কমিশন। আবগারি দপ্তরও বেশ সক্রিয় (Liquor Sale Monitoring) ভূমিকা পালন করতে শুরু করে দিয়েছে বেআইনি কাজ আটকানোর জন্য।
সম্প্রতি ২০২৪ লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরই আফগারি দপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে বেআইনি কাজ আটকানোর জন্য। ইতিমধ্যে মদের দোকান বা পানশালা গুলিতে বিশেষ নজরদারি করা শুরু করে দিয়েছে আফগারি দপ্তর। কোনো দোকানের বিক্রি প্রতিদিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি হলেও তার কারণ খতিয়ে দেখছে আফগারি দপ্তর। কেন? কবে? কোথায়? কার কাছে? কত পরিমাণ? বেশি মদ বিক্রি (Liquor Sale Monitoring) হয়েছে তার খুঁটিনাটি হিসাব রাখা হবে এই সময়।
মদের আমদানি রপ্তানি বন্ধ করার জন্য অন্ত:রাজ্য গুলির সীমানা ব্লক করে দেওয়া হয় এই সময়। উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খণ্ড বা সিকিমের মতো রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বা নেপাল, ভুটানের মত দেশ গুলি থেকে কম পয়সায় মদ যাতে ভারতে আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে আফগারি দপ্তর। ইতিমধ্যে সমস্ত চেকপোষ্টে নাকা চেকিং এর ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। মদ যাতে কোনভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারে বা ভোট চলাকালীন কোনরকম বিদ্রোহ ঘটাতে না পারে সেদিকে সম্পূর্ণ নজর রাখছে ভারতীয় আফগারি দপ্তর।
আরও পড়ুন ? Voter List Verify: ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ল নাকি রইল, অনলাইনে দেখে নিন সহজ পদ্ধতিতে
আফগারি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, ভোট ঘোষণা হবা, পর বাড়িতে মদ রাখা বা মদ নিয়ে যাতায়াত করার ব্যাপারে তেমন কোন বিশেষ নিষেধাজ্ঞা নেই। সারা বছর যে পরিমাণ মদ বাড়িতে রাখা যায় বা যাতায়াতের সময় গাড়িতে রাখা যায় এখনো তেমনি রাখা যাবে। দেশি মদের ক্ষেত্রে ১২ লিটার এর বেশি মদ বাড়িতে রাখা যায় না। অন্যদিকে, বিদেশি মদের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তি যতখুশি মদের বোতল বাড়িতে রাখতে পারেন। কিন্তু সেই বোতল গুলি রাখতে হবে নিজের পানীয় হিসেবে বিক্রি (Liquor Sale Monitoring) করার জন্য নয়। যে পরিমাণ মদ আপনি বাড়িতে রাখছেন তার যথাযথ বিল বাড়িতে রাখতেই হবে এমন কোন নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও বিল রাখাই ঝামেলা এড়ানোর একমাত্র উপায়।
প্রান্তীয় গ্রামাঞ্চল বা বিশেষ কিছু অঞ্চলে ভোটের আগে ভোটারদের খাওয়ানো, আর্থিক সাহায্য করা, মদ বিলি করা ইত্যাদি নানা কাজের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হতো। বর্তমানে এই ঘটনা প্রায় সর্বত্রই শোনা যায়। ভোট হিংসার ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলি উস্কানিমূলক কাজ করে বলে নির্বাচন কমিশনের মাথা ব্যাথার কারণ হয় দাঁড়িয়েছে এগুলো। তাই এই অভিযোগগুলোকে আটকাতে আবগারি দপ্তর থেকে এত করা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।