ইলেকট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন! উত্তরবঙ্গে আরও ৫টি রেলপথে শুরু হচ্ছে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চলাচল

উত্তরবঙ্গে একাধিক রেলপথ রয়েছে, যেগুলিতে এখনো বিদ্যুৎচালিত ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সেই পরিস্থিতির পরিবর্তনে কাজ করে চলেছে। সেই প্রচেষ্টায় নতুন করে অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আরও পাঁচটি রুটে এবার ছুটবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। বহুদিন ধরে এই রুটগুলিতে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ চলছিল, যা সম্প্রতি সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন দ্রুতগতিতে রেল কর্তৃপক্ষ ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীন এই পাঁচটি রুটে আগামী এক মাসের মধ্যেই ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালু হবে। এতে যেমন পরিবহণ ব্যবস্থার মান উন্নত হবে, তেমনি যাত্রী নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তথ্য অনুযায়ী, যেসব রুটে এই কাজ শেষ হয়েছে, সেগুলি হল নিউ কোচবিহার থেকে বক্সিরহাট, নিউ কোচবিহার থেকে বামনহাট, বক্সিরহাট থেকে ধুবড়ি, ফকিরগ্রাম থেকে গোলকগঞ্জ এবং নিউ মাল জংশন থেকে ময়নাগুড়ি রোড পর্যন্ত রেলপথ।

আরও পড়ুন: সব ছুটি বাতিলের খাতায়! অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

সব মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ২২টি সেকশনে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ চলছিল। এর মধ্যে এই পাঁচটি সেকশনে কাজ অসম্পূর্ণ ছিল, যা এখন সম্পন্ন হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই পাঁচটি রুট মিলিয়ে মোট প্রায় ২০০ কিলোমিটার রেললাইন বৈদ্যুতিকীকরণের আওতায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে নিউ কোচবিহার থেকে বক্সিরহাট পর্যন্ত ৩০.২৬ কিমি, বক্সিরহাট থেকে ধুবড়ি পর্যন্ত ৪৮.২৩ কিমি, নিউ মাল জংশন থেকে ময়নাগুড়ি রোড পর্যন্ত ৪১ কিমি, নিউ কোচবিহার থেকে বামনহাট পর্যন্ত ৪৯.৮১ কিমি এবং ফকিরগ্রাম থেকে গোলকগঞ্জ পর্যন্ত ৪৫.০৫ কিমি রেলপথে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ শেষ হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এই পাঁচটি রুটে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আগামী মাস দেড়েকের মধ্যেই ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চলাচল শুরু হবে। রেলের মতে, এই রুটগুলিতে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমবে। রেল সূত্রের দাবি, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই ২২টি সেকশনে মোট ১১৪১.৩৮ কিমি রেলপথে ইলেকট্রিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কিছু রুটে এখনও কাজ চলছে। স্থানীয়দের মতে, পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ হলে রেল চলাচল আরও সাবলীল হবে।