Kendriya Vidyalaya Admission 2025: ছেলে মেয়েরা একটু বড় হলেই বাবা মায়ের অন্যতম চিন্তা থাকে তাকে কিভাবে ভালো স্কুলে ভর্তি করানো যায়। এখনকার দিনে বাবা মায়েরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের ছেলে মেয়েকে আর বাংলা মাধ্যমে ভর্তি করাতে চান না। বেশিরভাগের ঝোঁক শহরের নামিদামি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের দিকেই।
তাই এবার ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বড় সুখবর। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। ৭ই মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট kvsangathan.nic.in এ ভর্তি সংক্রান্ত সমস্ত যাবতীয় তথ্য আপডেট করা হয়েছে। তাহলে আর অপেক্ষা কীসের? গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় নথি নিয়ে আপনার সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে আবেদন করুন আপনিও।
আরও পড়ুন: IIT Baba Marksheet: ভাইরাল আইআইটি বাবার মার্কশিট! জানুন তার JEE Rank ও নম্বর
যেকোনো স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট লাগে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তির জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট আবশ্যক। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত একটি সূত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে গেলে নিন্মলিখিত ডকুমেন্টগুলি জমা করতে হবে-
১) প্রথম শ্রেণীর ভর্তির জন্য সরকার দ্বারা স্বীকৃত সংস্থার জারি করা জন্ম সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এটি নোটিফায়েড এরিয়া কাউন্সিল, পৌরসভা, মিউনিসিপাল কর্পোরেশন, গ্রাম পঞ্চায়েত, সামরিক কোনো হাসপাতাল বা প্রতিরক্ষা কর্মীদের সার্ভিস রেকর্ডস থেকে ইস্যু করা যেতে পারে।
২) দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর ভর্তির জন্য ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (TC) বাধ্যতামূলক নয়। তবে শিক্ষার্থীর জন্মতারিখ অবশ্যই সরকারি সংস্থা কর্তৃক জারি করা ডকুমেন্টে উল্লেখ থাকা জরুরি।
৩) তফসিলি জাতি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (OBC-Non Creamy Layer), অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি (EWS) ও BPL শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি সংস্থার জারি করা কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি শিশুর নামে কোনরকম সার্টিফিকেট ইস্যু করা না থাকে সেক্ষেত্রে ভর্তির শুরুতে বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য পাবে। তবে ভর্তির তিন মাসের মধ্যে শিশুর নিজের নামে সার্টিফিকেট তৈরি করে জমা দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
৪) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন, পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ভারত সরকারের কোন সংস্থার নির্ধারিত অথরিটি কর্তৃক ইস্যু করা সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যদি কোন শিশুর শারীরিক সমস্যা থাকে ও প্রধান শিক্ষকের চোখে পড়ে তাহলে সার্টিফিকেট ছাড়াও ভর্তি করানো সম্ভব।
৫) গত সাত বছরের বদলির তথ্যসহ চাকরির সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রধান দ্বারা স্বাক্ষরিত ও যাচাই করা হতে হবে এই সার্টিফিকেটটি।
৬) যদি শিক্ষার্থীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা কর্মী হন সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া সার্টিফিকেট জমা করতে হবে।
৭) বাসস্থান সংক্রান্ত প্রমাণপত্র জমা করতে হবে যাতে আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা থাকবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে ভর্তির ক্ষেত্রে। আপনার সুবিধার্থে সেগুলি জেনে নিন-
১) শুধুমাত্র আবেদনপত্র পূরণ করলেই শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত নয়।
২) যারা অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র জমা করবেন তাদের আবেদন সম্পূর্ণ বাতিলের খাতায় থাকবে।
৩) ভুল তথ্য বা জাল নথি দিয়ে ভর্তি করা হলে সেই আবেদন বাতিল করা হবে ও তার বিরুদ্ধে কোনোরকম আপিল গ্রহণযোগ্য করা হবে না।
৪) একজন শিক্ষার্থীর নামে একই বিদ্যালয়ে একাধিক বার আবেদন জমা পড়লে সর্বশেষ আবেদনপত্রটি বৈধ বলে গ্রহণযোগ্য হবে।
৫) যদি কোন কারনবসত ভর্তি বাতিল হয়ে যায় তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের লিখিতভাবে জানিয়ে দেবে যাতে ভবিষ্যতে কোনরকম আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
৬) প্রথম শ্রেণীর ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমেই করতে হবে। অফলাইনে হবে না।