সরকারি চাকরি হবে না! কেন্দ্রের নয়া নিয়মে আর কোথায় কোথায় লাগবেই বার্থ সার্টিফিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগে বার্থ সার্টিফিকেটের (Birth certificate) গুরুত্ব ছিল খুবই সীমিত। মাত্র কয়েকটি জায়গাতে বার্থ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতো। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত হওয়ার বাদল অধিবেশনে এই নিয়মে পুরোপুরি বদল এসেছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তাতে বার্থ সার্টিফিকেট এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে আর সরকারি চাকরি হবে না। এছাড়াও আরও একাধিক ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট লাগবেই।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বাদল অধিবেশনে বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে যে বিল পেশ করা হয় তা পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে আগামী ১ অক্টোবর। স্বাভাবিকভাবেই বার্থ সার্টিফিকেটের এই নতুন নিয়ম না জানলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে ভারতীয় নাগরিকদের তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবার দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় বার্থ সার্টিফিকেট লাগবেই?

বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে এমন নতুন নিয়ম জারি করার কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট মহল দাবী করছে, এই নিয়মের ফলে সরকারি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে। নতুন এই সংশোধনী আইনের ফলে কেন্দ্র সরকারের হাতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্ম এবং মৃত্যু নিয়ে সমস্ত তথ্য নিখুঁতভাবে জমা পড়বে। এছাড়াও যাদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই তারা যে বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন না, এমন আশঙ্কা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না নতুন এই নিয়মের ফলে।

এযাবৎ ভারতীয় নাগরিকরা বিভিন্ন সরকারি কাজকর্মের ক্ষেত্রে নিজেদের জন্ম সংক্রান্ত প্রমাণ দেওয়ার জন্য মাধ্যমিকের নথি সহ অন্যান্য বিভিন্ন নথি ব্যবহার করতেন। কিন্তু ১ অক্টোবরের পর থেকে এমনটা আর নাও হতে পারে। যদিও এই বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানা যাচ্ছে। যে কারণে এখনো পর্যন্ত যাদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই তারা মিউনিসিপালিটি বা কর্পোরেশন অথবা পঞ্চায়েত থেকে তা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে জন্মের ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায়।

নতুন এই নিয়ম অনুসারে স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সরকারি চাকরি অথবা পাবলিক সেক্টরে কাজ, পাসপোর্ট তৈরি করানো, নতুন আধার কার্ড তৈরি করানো ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রেই বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।