First BSF Woman Sniper: ঘুম উড়ল চীন-পাকিস্তানের! এবার বর্ডার পাহারায় এলেন সুমন কুমারী

This time, First BSF Woman Sniper Suman Kumari came to the border guard: মহিলাদের দ্বারাই হবে দেশের উন্নয়ন! স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর। নরেন্দ্র মোদির সেই স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে দিলেন সুমন কুমারী। আত্মপ্রকাশ করলেন প্রথম বিএসএফ মহিলা স্নাইপার (First BSF Woman Sniper) হিসেবে। যা শুনে মাথায় হাত চীন-পাকিস্তানের। কারণ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দেশবিরোধী কাজ করলেই গুলি খাবেন চীন-পাকিস্তান সেনারা। স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি চালাবেন সুমন কুমারী। যা দেখতে পাবে না বিরোধী পক্ষরা। কারণ স্নাইপার রাইফেল হল দূরবর্তী রাইফেল। যাতে দূরবীন লাগানো থাকে। ফলে অনেক দূর থেকেই এই রাইফেল চালানো যায়। যাতে শত্রুপক্ষরা বুঝতে পারে না। আর সেই শত্রুপক্ষদের পরাজিত করতেই এই জায়গায় এলেন সুমন কুমারী। কিভাবে এই জায়গায় এলেন সুমন কুমারী? পথ চলাটা কি খুব সহজ ছিল?

সূত্রের খবর অতি সাধারণ পরিবারের কন্যা হলেন প্রথম বিএসএফ মহিলা স্নাইপার (First BSF Woman Sniper) সুমন কুমারী। বাড়ি হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায়। মা গৃহবধূ, বাবা কাজ করেন ইলেকট্রিকের। প্রথম BSF-এ যোগ দেন ২০২১ সালে। সীমান্তবর্তী রাজ্য পাঞ্জাবে এক পল্টনের নেতৃত্বে থাকাকালীন তিনি পাক স্নাইপারদের হামলা চালাতে দেখেন। সেই দেখেই পাক সেনাদের পাল্টা জবাব দিতে স্বেচ্ছায় স্নাইপার কোর্সে যোগ দেন সুমন কুমারী। অনুমতি পেতেই নিজের লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট হন সুমন।

শুরু হয় তাঁর লড়াই। আট মাসের স্নাইপার কোর্স শেষ করেন ‘সেন্ট্রাল স্কুল অব ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিকস’-তে। যা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে অবস্থিত। এই কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন ৫৬ জন পুরুষ এবং একজন মহিলা। যার নাম সুমন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীরগুলির কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্যে অন্যতম হলো স্নাইপার কোর্স। ফলে মহিলা হিসেবে সুমনের জন্য এই কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে তিনি মনের জোর নিয়ে লক্ষ্য স্থির রেখে প্রশিক্ষণের একের পর একটি ধাপে চমৎকার সাফল্য অর্জন করেন। এমনকি প্রশিক্ষণ চলাকালীন বেশ কিছু পুরুষ প্রশিক্ষণপ্রার্থীকেও ব্যর্থ করেছেন। যা জানিয়েছেন সিএসডব্লুটি-এর আইজি ভাস্কর সিং রাওয়াত।

আরও পড়ুন 👉 CAA Document: ভারতের নাগরিকত্ব পেতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে, যতটা সহজ ভাবছেন ততটা নয়, রইল তালিকা

এর পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, স্নাইপার কোর্সে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করলে ‘আলফা’ ও ‘ব্রাভো’ গ্রেড দেওয়া হয়। তবে সুমন অর্জন করেছেন ‘ইন্সট্রাক্টর গ্রেড’। ফলে প্রথম বিএসএফ মহিলা স্নাইপার সহ ‘ইন্সট্রাক্টর গ্রেড’ অর্জন করায় তিনি স্নাইপার প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই না, তিনি সুমন কুমারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মহিলা হিসেবে সুমন একাই বহু পুরুষ প্রশিক্ষণপ্রার্থীদের পিছনে ফেলেছেন। তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্প তাঁকে এই জায়গায় এনেছে। যা সকলের থেকে তাকে পৃথক করেছে।

অপরদিকে প্রথম বিএসএফ মহিলা স্নাইপারকে অভিবাদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএসএফ তরফে লেখা হয়েছে, ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ভেদে বাহিনীতে সকলেই নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন। ভয় দূর করে সাহস নিয়ে বাহিনীতে এগিয়ে আসছেন বহু মহিলা। ফলস্বরূপ বাহিনী অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠছে। যার প্রমাণ দিলেন প্রথম বিএসএফ মহিলা স্নাইপার (First BSF Woman Sniper) সুমন কুমারী। যিনি বাহিনীর অন্যান্য মহিলা সদস্যদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।