সুখবর, ৭ দিনেই সুস্থ হয়ে উঠলেন বীরভূমের প্রথম তিন করোনা রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পাশাপাশি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চললেও একটা সময় ছিল যখন করোনা ছুঁতে পারেনি লাল মাটির দেশ বীরভূমকে। প্রথম থেকেই বীরভূম গ্রীন জোন থেকে দিশা দেখাচ্ছিলো রাজ্যকে। পুলিশ প্রশাসন সকলেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলাকে করোনা মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ সবকিছু বিগড়ে যায় মুম্বাই ফেরত তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায়। প্রথমে তিনজন পরে আবার আরও তিনজন। জেলায় মোট সংক্রামিত সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। এমত অবস্থায় সবথেকে বড় সুখবর এটাই যে বীরভূমের প্রথম যে তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তারা আজ সুস্থ। অর্থাৎ জেলায় মোট করোনা অ্যাক্টিভ সংখ্যা দাঁড়ালো ৩।

বীরভূমের যে তিনজন বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা এপ্রিল মাসের শেষের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে মুম্বাই থেকে বীরভূমে ফেরেন। ৩০ তারিখ নমুনা টেস্ট করার পর তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন ক্যান্সার রোগী আর বাকি দুজন ছিলেন তাদের সহযাত্রী। এই তিনজনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতলে। তারপর তারা মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠলেন। তাদের বর্তমান রিপোর্ট নেগেটিভ। এরপর তাদের শুক্রবার বাড়ি পাঠানো হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়ার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করতালি দিয়ে তাদের এমন অভূতপূর্ব করোনা জয়ের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে তরফ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “বীরভূমে প্রথম যে তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তারা আজ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন ক্যান্সার রোগী। যিনি সদ্য অপারেশন করিয়ে জেলায় ফিরেছিলেন। যিনি ক্যান্সার জয়ের পর জয় করলেন করোনাকে। এখনো পর্যন্ত দুর্গাপুরের সনোকা হাসপাতালে যে সকল রোগীরা ভর্তি হয়েছিলেন তাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। পাশাপাশি যারা এখনো ভর্তি রয়েছেন তারা অনেকেই সুস্থ হওয়ার পথে। যা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে গৌরবমণ্ডিত করছে।”

পাশাপাশি চিকিৎসকরা আরও জানান, “খুব তাড়াতাড়ি আমাদের এই হাসপাতাল কোভিড টেস্টের জন্য অনুমোদন পেতে চলেছে। আর এই অনুমোদন পাওয়া হয়ে গেলে শুধু পশ্চিম বর্ধমান নয়, পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। সকলকে আমাদের অনুরোধ গুজবে কান দেবেন না, ভয় পাবেন না।”