Sundarban floating jetty: সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ হচ্ছে দ্বিগুণ! নতুন পরিকল্পনা শুনলে আনন্দে লাফাবেন

Floating Jetty is being built in the Sundarbans! Initiative by the State Govt: সুন্দরবনের একাধিক দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সুন্দরবনের একাধিক দ্বীপ রয়েছে, যেগুলি মূল ভূখণ্ড থেকে নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এই সমস্ত নদীবেষ্টিত দ্বীপ গুলিকে সুন্দরবনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে চালু করা হবে ভাসমান জেটি (Sundarban floating jetty)। এরই সঙ্গে সুন্দরবনে চালু করা হবে রো রো পরিষেবা। এর ফলে কলকাতা থেকে গাড়ি করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সুন্দরবনের প্রান্তিক দ্বীপে। চলুন এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত খবর প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের মধ্যে পাথরপ্রতিমা ব্লকটি খুবই প্রত্যন্ত। এই ব্লকটি ছোট ছোট বেশ কয়েকটি দ্বীপকে জুড়ে রয়েছে। প্রত্যেকটি দ্বীপই জনবহুল। আর প্রত্যেকটি দ্বীপেই রয়েছে এক একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই ব্লকে মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৯টি নদী বেষ্টিত। তবে পাথরপ্রতিমার বেশ কিছু দ্বীপ মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এবার এই দ্বীপ গুলিকে যুক্ত করার জন্য তৈরি করা হবে ভাসমান জেটি (Sundarban floating jetty)। এতোদিন এই বিছিন্ন দ্বীপগুলির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগের খুবই সমস্যা ছিল। কেননা এতোদিন এখানে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল ভটভটি। কিন্তু কোনো চার চাকার গাড়ি এই দ্বীপ গুলিতে যেতে পারতো না। তবে এই আধুনিক জেটি পরিষেবা (Sundarban floating jetty) শুরু হলে, মানুষ খুব সহজেই শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এমনকি কলকাতা থেকেও চার চাকা করে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই দ্বীপগুলিতে।

পথরপ্রতিমা ব্লকের মানুষের সমস্যার কথা ভেবে এখানে নদীর উপর মোট চারটি জেটি (Sundarban floating jetty) তৈরি করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা। তিনি জানিয়েছেন, এই জেটি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে এই প্রজেক্টে। এই চারটি জেটি পাখিরালা নদীর উপর নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরাটবাজারের কাছে একটা, বনশ্যামনগর ঘাটের কাছে একটা, বনশ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিবাঙালের ঘাটে একটি এবং আরেকটি তৈরি করা হবে জি প্লটের চাঁদমারি ঘাটে। এই জেটি নির্মাণ হয়েছে গেলে পাথরপ্রতিমার প্রায় ৬টি গ্রামকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। আগামী দিনে আরো বেশ কয়েকটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

গত সোমবার নিজে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাথরপ্রতিমার বিরাটবাজারে ভাসমান জেটির (Sundarban floating jetty) কাজ শুরু করেন। এদিন পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব সৌমিত্র মোহন, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরো অনেক কর্মকর্তা। এদিন পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘এখানে চারটি ভাসমান জেটি হবে। এই জেটিগুলি দিয়ে সবরকম গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স পারাপার করবে। ফলে এই এলাকার মানুষের সঙ্গে সারা রাজ্যের মানুষের যোগাযোগ দ্রুত হবে। নদীর খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। জেটিতে থাকবে শৌচালয়, বিশ্রামকক্ষ। থাকবে বেশ কিছু দোকান।’

আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এই জেটি নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। জেটি নির্মাণ শেষ হলেই শুরু হবে রো রো পরিষেবার কাজ। এর জন্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে ওখানকার সাধারণ মানুষের যেমন সমস্যা কমবে, তেমনই অর্থনৈতিক ভাবেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া পর্যটন শিল্পেরও প্রসার ঘটবে।