নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে যে সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো দীঘা। বছরের বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সমুদ্রসৈকতে আগমন ঘটে পর্যটকদের। যে কারণে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।
দীঘার পর্যটনশিল্পকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এখানে ওড়িশার পুরী মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ দেব মন্দির। এই জগন্নাথ দেব মন্দিরকে ঘিরে এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আলাদা কৌতুহল। দেড়শ কোটি টাকার বেশি খরচ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
পাশাপাশি এবার দিঘার এই পর্যটনশিল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চিড়িয়াখানা তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। দিঘা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে ফাঁকা জমি। সেখানেই এই চিড়িয়াখানা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। বনদপ্তরের উদ্যোগে এই পরিকল্পনা দীঘায় আগত মানুষদের সমুদ্রে স্নানের পাশাপাশি চিড়িয়াখানা দেখাবে।
১২ একর জমিতে এই চিড়িয়াখানা তৈরির বিষয়ে সমস্ত রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জু অথরিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য। সেই অনুমতি মিললে চিড়িয়াখানা তৈরি করা হবে এবং সেখানে জায়গা পাবে বাঘ, সিংহ, জেব্রা, জিরাফ ইত্যাদির মতো নানান বন্যপ্রাণী। এছাড়াও ক্লিনিক এবং রেস্টুরেন্ট তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
দীঘায় চিড়িয়াখানা তৈরি করার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের অনেকদিন ধরেই রয়েছে। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য এতদিন ধরে জমির খোঁজার কাজ চলছিল। সেই কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার দিকে। এর পাশাপাশি নিউ দিঘাতেও যে হরিণালয় রয়েছে সেটিকেও বড় চিড়িয়াখানায় রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পাখির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং চারটি জিরাফ, জেব্রা আনা হবে বলেও শোনা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী ব্ল্যাক প্যান্থার এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগার রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।