তুষারধসে চোখের পলকে প্লাবন উত্তরাখণ্ডে, ভেঙে চুরমার ঘরবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর আটেক আগের কেদারনাথের স্মৃতি ফের একবার ফুটে উঠলো দেশের সামনে। রবিবার সকালে বিশাল তুষারধসের সম্মুখীন হতে হলো উত্তরাখান্ডকে। আর এই তুষারধসের কারণে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তৈরি করা দুটি নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর এসেছে। ঘটনায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। রাজ্যের চার জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৫০ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে কয়েকজনের হতাহতের। বিরাট এই তুষারধসের কারণে ভাঙ্গন ধরেছে ধৌলিগঙ্গার বাঁধেও। বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে ঋষিকেশ ও হরিদ্বারে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্ধারকারী দল।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, “মনে করা হচ্ছে চামোলি হিমবাহে ফাটলের কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রবল বৃষ্টি এবং প্লাবনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষি গঙ্গা প্রকল্পের। অলকানন্দায় যেসকল নিচু জায়গা রয়েছে সেগুলিও ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধ, আগাম সর্তকতা হিসেবে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে।”

আর এই ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের আপামর জনতা। সকলেরই প্রার্থনা এলাকার প্রত্যেকের কুশল মঙ্গল থাকার।

এদিকে ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে রেনি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।