সরকারি কর্মচারীদের ‘আসি যাই, মাইনে পাই’-এর দিন শেষ! বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা করবে নবান্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘আসি যাই, মাইনে পাই’, সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) মধ্যে এমন প্রবণতা বহুদিনের। অন্ততপক্ষে সাধারণ মানুষদের অভিযোগ এমনটাই। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবস্থা আনার ফলে এই সব প্রবণতা ধীরে ধীরে শেষ হতে চলেছে। আর এই প্রবণতা অর্থাৎ কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা একেবারেই শেষ করে দেওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। এবার এই ধরনের ঘটনা সামনে এলেই বড় অংকের টাকা জরিমানা দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। টাকার অংক শুনেই রীতিমতো মাথায় হাত সরকারি কর্মচারীদের।

সরকারি দপ্তরের পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষদের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিরল নয়। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিষেবা পাওয়ার জন্য বারবার সরকারি দপ্তরে ঘোরাফেরা করতে হয় উপভোক্তাদের। এই সকল ঘটনায় এবার লাগাম টানার জন্য প্রশাসনিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনভাবেই যাতে রাজ্যের মানুষরা সরকারি পরিষেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হন তার জন্যই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে মমতা সরকার (Mamata Government)।

যদি কোন কাজের জন্য সরকারিদের কোন গাফিলতি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে ওই সরকারি কর্মচারীকে আর্থিক জরিমানা দিতে হবে এমনটা আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই বছর জনপরিষেবা অধিকার আইনের মাধ্যমে এমন আর্থিক জরিমানার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে সেই সময় এই আর্থিক জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল সর্বোচ্চ মাত্র ১ হাজার টাকা। কিন্তু এই সামান্য টাকায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারিনি বলে অনেকেই দাবি করে থাকেন। যে কারণে এবার এই টাকার পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন 👉 দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরেও বাড়তি ছুটি! তালিকা দিলো নবান্ন

পশ্চিমবঙ্গে বহুল প্রচলিত একটি দৈনিক সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী, এবার এই জরিমানার পরিমাণ ১০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন। স্বাভাবিকভাবেই জরিমানার পরিমাণ ১০০০০ টাকা হয়ে যাওয়া চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি কর্মচারীদের কাছে। অন্ততপক্ষে সেইসব সরকারি কর্মচারীদের কাছে তা চিন্তার বিষয় যারা নিজেদের কাজে ফাঁকি দিয়ে থাকেন।

বর্তমান যে আইন রয়েছে সেই আইন অনুযায়ী, কোন দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা পাওয়া না গেলে প্রথমে সেই দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারেন উপভোক্তারা। সেই অভিযোগ জানানোর পরেও যদি পরিষেবা না পাওয়া যায় তাহলে ধাপে ধাপে একের পর এক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো যায়। তবে এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় অতিবাহিত হয়। যেকারণে সময় অতিবাহিত হওয়ার কথা মাথায় রেখে অভিযোগ জানানোর নিয়মে শিথিলতা আনা হচ্ছে। নতুন যে নিয়ম আনা হচ্ছে তাতে প্রথমবার অভিযোগ জানানোর পর যদি সুবিধা না পাওয়া যায় তাহলে সরাসরি জন পরিষেবা অধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ পেয়ে সরাসরি জন পরিষেবা অধিকার কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারবে। রেশন কার্ড, বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট, জমির মিউটেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন পরিসেবার ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।