কর্মরত মৃত সরকারি কর্মীর আত্মীয়দের চাকরি নিয়ে টানাটানির দিন শেষ! বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি নিয়ম অনুসারে, কোন কর্মচারীর কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে তার নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ম চলে আসছে। তবে এই প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় মৃত কর্মরত সরকারি কর্মীর আত্মীয়দের। সেই সকল নিয়ম মানতে গিয়ে বহু সময় দেখা যায় চাকরি নিয়ে টানাটানির মত ঘটনা ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতি থেকে ওই ধরনের নিকট আত্মীয়দের রক্ষা করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন (Nabanna)।

মৃত সরকারি কর্মচারীদের চাকরি যাতে সহজেই তাদের নিকট আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া যায় তার জন্য এই নিয়মে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোটের উপর চাকরি প্রদান প্রক্রিয়া আগের থেকে অনেক সহজ ও সরলীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য অর্থ দপ্তর। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এবার অনেক সহজেই চাকরি পাবেন এইরকম ঘটনায় যারা এতদিন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন।

কর্মরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের কোনো সদস্যদের চাকরি দেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে, তাতে রয়েছে পরীক্ষা বিধি। কিন্তু এই বিধির কারণে বহু সময় জটিল পরিস্থিতির মত ঘটনা সামনে আসে এবং চাকরি পাওয়ার দাবিদার হলেও সদস্যরা চাকরি পান না। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধা হয় সম্মুখীন হতে হয় ওই সকল পরিবারের সদস্যদের।

এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদ জরিপ করা হবে এবং যে সমস্ত প্রার্থীরা যোগ্য তাদের জেলা অফিসগুলিতে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমেই কম্পিউটার পরীক্ষা দেওয়ার যে বিষয়টি ছিল তা বাধ্যতামূলক থাকছে না। তবে এর সঙ্গে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন : বদলে যাবে সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের ছুটির নিয়ম! নতুন নিয়মে মিলবে অনেক বাড়তি সুবিধা

যে শর্ত দেওয়া হয়েছে সেই শর্তে বলা হয়েছে, যারা নিযুক্ত হবেন তাদের প্রবেশন পিরিয়ডে থাকা অবস্থায় নির্দিষ্ট পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। যদি কেউ সেই পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হন তাহলে তার চাকরির স্থায়ীকরণ সম্ভব হবে না। এর পাশাপাশি তার পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। তবে তিনি যদি ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষায় পাশ করেন তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না।