Coal Mine: সরকার উদ্যোগী হয়েছে ভূগর্ভস্থ কয়লা খননকার্যে, কোথা থেকে শুরু হবে কাজ

Coal Mine: কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বেশি জোর দিচ্ছে খোলা মুখের (ওপেন কাস্ট) থেকে ভূগর্ভস্থ কয়লা খননের দিকে (আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং)। এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার? যে সব সংস্থা ভূগর্ভস্থ খননে উদ্যোগী হবে, সেইসব সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা দেবে এমনটাই জানিয়েছেন কয়লা সচিব বিক্রম দেব দত্ত। তিনি বুধবার কলকাতায় কয়লা খনি নিলামের ১১তম দফার রোড শো-তে এসে এমনটাই বলেছেন।

যেসব সংস্থা ভূগর্ভস্থ খনিতে (Coal Mine) আগ্রহী সেই ধরনের সংস্থাগুলিকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আর কি ধরনের সুবিধা দেওয়া যায় তা নিয়ে সরকারি স্তরে কথা চলছে। মাসখানেকের মধ্যেই হয়তো ঘোষণা হবে সেইসব বিষয় সম্পর্কে। তবে নতুন যে সব সংস্থা কয়লা খনি হাতে নেবে, শুধু তারাই ওই সুবিধা পাবে।

বিক্রম ঘোষণা করেছেন যে, মোট ২৭টি খনি (Coal Mine) নিলাম হবে ইতিমধ্যে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কারণে এর মধ্যেই জমা পড়ে গেছে প্রায় ৭০টির মতো দরপত্র। মাসখানেক ধরে এই নিলামের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর তুলে দেওয়া হবে ক্রেতাদের হাতে। তা ছাড়া, মার্চে ১২তম দফার নিলাম হবে। তাতেও প্রায় সমান সংখ্যক খনি বিক্রি করা হবে।

আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার নতুন অতিথিদের জন্য নয়া উদ্যোগ, নির্মিত হবে উন্নতমানের কোয়ারেন্টাইন

কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে ভূগর্ভস্থ খননে উৎসাহ দিতে চাইছে। এর প্রধান কারণ হলো এই ধরনের খননকার্যের ফলে যে কয়লা উত্তোলন হয় তা অত্যন্ত উচ্চমানের। এই কয়লা ভারতকে আমদানি করতে হয়, তাই দেশেই তা উত্তোলন করা সরকারের লক্ষ্য। যদি ভূগর্ভস্থ খনন করা যায় তাহলে কিন্তু পরিবেশ দূষণ কম হয়। ভূগর্ভস্থ কয়লা খনন করলে জমির প্রয়োজন কম হয়। ফলে খনি (Coal Mine) এলাকার মানুষকে উচ্ছেদের প্রয়োজনও হয় কম।

বিক্রম আরো জানিয়েছেন যে, গত ১০ দফার নিলামে ১১৩টি খনি বিক্রি হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নটি খনির উত্তোলনের কাজ। আরও ১৪টি কয়লা তোলার লাইসেন্স পেয়েছে। এ দিন কোল ইন্ডিয়ার সিএমডি পি এম প্রসাদ বলেন, কয়লা উত্তোলনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তাঁরা। সাতটি খনিতে এটি কার্যকর করা হয়ে গেছে। কেন ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি? যাতে খনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত হয় তার জন্যই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি নজরদারিও আরো কড়া হয়েছে।