‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, সম্মান নিলেন না বিক্ষুব্ধরা

লাল্টু : রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, ‘বাংলার গর্ব মমতা’। এই কর্মসূচি অনুসারে বিধানসভা ভোটের আগে দলের পুরাতন কর্মীদের দলে ফেরানোর লক্ষ্যে রবিবার বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের পৌরসভা হলে দলের পুরাতন কর্মীদের সম্মান প্রদানের আয়োজন করা হয়। তবে এই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানেই দেখা গেল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এই গোষ্ঠী কোন্দলে এদিন শোরগোল পড়ে যায় পৌরসভার ওই হলে। সম্মান না নিয়েই হল ছেড়ে বেরিয়ে যান দলের পুরাতন ১০ থেকে ১২ জন কর্মী।

এদিন বিধায়কের সামনে যে সকল পুরাতন দলীয় কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন খন্ড গ্রামের একসময়ের তৃণমূল বুথ সভাপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বিধায়কের ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? তিনি ক্ষোভ দেখিয়ে বলেন, “আমাদের সম্মান দিতে আপনি ডেকেছেন, আমরা এসেছি। আপনাকে আমরা সম্মান করি একজন বিধায়ক হিসেবে। কিন্তু আপনার ন্যূনতম ক্ষমতা কতটুকু?”

এই হাবিবুর রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরে তিনি খন্ড গ্রামের বুথ সভাপতিও হন। তবে পরে তাকে দল থেকে এক প্রকার নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাবিবুর রহমান এদিন দুবরাজপুর পৌর হলে সকলের সামনে তার পুরাতন দিনে দলের হয়ে কাজ কর্মের কথা ক্ষোভের সাথে তুলে ধরেন। আর এদিন এই সকল পুরাতন কর্মীদের সম্মান দেওয়ার জন্য ডাকা হলেও তাদের কাছ থেকে কোন কিছু শোনা হয়নি বা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। আর তারপরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হাবিবুর রহমান সহ ১০ থেকে ১২ জন দলের পুরাতন কর্মীরা সম্মান না নিয়ে হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। ক্ষোভ ও বিশৃংখল পরিস্থিতি সামাল দিতে ধমক দিতে দেখা যায় দুবরাজপুরের প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমান শহর সভাপতি পীযুষ পান্ডেকে।

যদিও এ প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক নরেশ বাউরির জানান, “এটা ক্ষোভ নয়, এটা অভিমান। দলের কর্মীরা কি কখনো ক্ষোভ দেখাতে পারে? একই সংসারের যদি ৫ ছেলে হলে তাহলে যেমন একজন বলে আমাকে আগে খেতে দাও, ঠিক সেই ঘটনায় ঘটেছে। এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার আমরা সামলে নেব। আগামী দিনে ওরা সক্রিয়ভাবে দল করবে।”