কালীপুজোর আগেই DA! হয়ে গেল বড় ঘোষণা! খুশিতে ডগমগ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের পর বছর বাজার মূল্যের ভিত্তিতে বেড়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Government Employees) ডিএ (DA)। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা নন, মোটামুটি কেন্দ্রের সমান হারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরাও DA পাচ্ছেন। কিন্তু সেই হারে ডিএ পাচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (West Bengal Government Employees)। যে কারণে তাদের প্রাপ্য দিয়ে আদায়ের দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।

ডিএ আদায়ের জন্য আন্দোলন চালানো হলেও কোন সুরাহা মিলছে না। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের রায় থাকলেও কোন লাভ দেখতে পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কারণ এই মামলা বারংবার এক আদালত থেকে পৌঁছে যাচ্ছে অন্য এক আদালতে। যদিও এই পরিস্থিতিতেই এবার বড় এক ঘোষণা হয়ে গেল আর সেই ঘোষণা অনুযায়ী রীতিমতো আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীরা।

এমন আশার আলো ফুটতে শুরু করেছে মূলত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বড় ঘোষণায়। কেননা তিনি জানিয়েছেন, তিনি এই মামলার মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডিএ-র দাবি আদায়ের জন্য বিজেপি সরকারি কর্মচারী পরিষদ জোড় কদমে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করবে। কিভাবে লড়াই চালানো হবে তাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আগামী ৩ নভেম্বর ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ঐদিন দুজন সিনিয়র আইনজীবী তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত থাকবেন। যাতে এই মামলার শুনানির নিষ্পত্তি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্য সরকার বারবার এই মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবীদের দাঁড় করিয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ নভেম্বর তাদের তরফ থেকে সিনিয়র আইনজীবী দাঁড় করানো হবে এবং মামলার নিষ্পত্তি করানো হবে।

শুভেন্দু অধিকারীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আশা করা হচ্ছে আগামী ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে DA সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হবে এবং রাজ্য সরকারের করা SLP খারিজ করে সেই মামলা পুনরায় ফিরে আসবে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের DA দিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রেখেছেন তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।