করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ৫৬০০০ মানুষের অভিজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে এখনও অবধি করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৭৪ জন। পুরো বিশ্বে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮০৯ জন। এই ভাইরাসে ৪,০৩১ জন‌ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মোদ্দাকথা হলো এই ভাইরাস মৃত্যুর অপর নাম হয়ে উঠেছে। চীন থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শুরু হয়। তবে শুধু ভারতই নয় ইরাক, ইরান, আমেরিকা, ইতালিতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

যে সকল মানুষের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, হাঁপানির মতো রোগ আছে তাদের করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। আর শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়।

ভারত সরকার কয়েকদিন আগেই একটি জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছেন। এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে যে, এই ভাইরাসকে রোধ করতে গেলে সংক্রমিত মানুষজন বা পশু পাখির থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া বারংবার গরম জলে চোখ মুখ ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। অ্যালকোহল বেসড সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে বলেছেন। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে যত্রতত্র থুতু ও মলমূত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগী সরকার এই ভাইরাসের আতঙ্কের ফলেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন যেখানে তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে বিভিন্ন অফিসে তারা যেন থুতু দিয়ে ফাইলের পাতা না ওল্টান। সংক্রামক রোগের থেকে বাঁচতে এগুলি আমাদের করণীয়। অযথা আতঙ্ক ছড়াতেও মানা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কী কী কষ্ট হয় এটা আমরা অনেকেই সেভাবে জানিনা। আর কী ভাবে এই ভাইরাস ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করে তাও আমাদের অজানা। চলুন আজ এবিষয়েই কিছু বলবো।

করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ৫৬০০০ কাছাকাছি মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিলো। গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ এই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর তাদের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে।

১) এই ভাইরাসের প্রভাবে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা এই ভাইরাসের ফলে নষ্ট হয়ে যায়।

২) এই ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।

৩) করোনা ভাইরাসের ফলে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়।

৪) এই ভাইরাসের ফলে রোগী বারংবার অজ্ঞান হয়ে যান।

৫) এই ভাইরাসের ফলে হার্ট, কিডনি ইত্যাদি অঙ্গ ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যায়।

৬) পরিশেষে রোগী মৃত্যুর দিকে ঢলে পরেন।

তবে যেহেতু এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানোর জন্য কোনো রকম ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই আমাদের সচেতনতায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে পারে। আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে, তবেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। যতটা সম্ভব ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে, পাশাপাশি কোনো রকম গুজবে কান না দিয়ে সরকারি নির্দেশাবলী মেনে চলতে হবে।