দোল অর্থাৎ বসন্ত উৎসবের সময় দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকদের বোলপুর শান্তিনিকেতন আসতে দেখা যায়। বছরের পর বছর ধরে এমন ট্র্যাডিশনই চলে আসছে। তবে এই বছর সেই ট্র্যাডিশনে কিছুটা হলেও বদল লক্ষ্য করা গেল। কেননা এই বছর আচমকা বীরভূমের এক জায়গায় দোলের সময় হোটেল পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটকদের।
দোলের সময় হোটেল পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বীরভূমের তারাপীঠে। চলতি বছর আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ঘরোয়াভাবে বসন্ত উৎসব পালন করে ফেলেছে। খোয়াই অর্থাৎ সোনাঝুরিতে যে বসন্ত উৎসব হতো তা বনদপ্তরের নির্দেশে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকরা যাবেন কোথায়? এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকরা এখন তারা মায়ের শরণাপন্ন হচ্ছেন। কাতারে কাতারে হোটেল বুকিং শুরু হয়েছে তারাপীঠে।
আরও পড়ুন: Lakshmi Bhar: লক্ষীর কৃপা চান? লক্ষীর ভাঁড় ব্যবহারের এই নিয়ম মানলেই সঞ্চয় বাড়বে
১৪ই মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার এই বছর পড়েছে বসন্ত উৎসব বা দোল। ঐদিন থেকেই তারাপীঠে হোটেল বুকিং নজরকাড়া বলছেন হোটেল মালিকরা। দোলের দিন ছুটির পাশাপাশি শনিবার ও রবিবার পরপর দুদিন ছুটি থাকার কারণেই বহু পর্যটকরা তারাপীঠে আসার পরিকল্পনা নিয়েছেন বসন্ত উৎসবের সময়। এখন তারাপীঠের অধিকাংশ হোটেলেই ঘর ফাঁকা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
তারাপীঠে সারা বছরই পর্যটকদের আগমন হয়ে থাকে। সেখানে অজস্র হোটেল রয়েছে। তবে এমন কিছু সময় থাকে যে সময়গুলিতে এই অজস্র হোটেলেও রুম ফাঁকা পাওয়া যায় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে কৌশিকী অমাবস্যা। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তিথি। তবে এসবের বাইরেও দোল পূর্ণিমার সময় তারাপীঠে হোটেলের এতটা চাহিদা থাকবে তা ভেবে উঠতে পারেননি হোটেল মালিকদের অনেককেই।
তারাপীঠের অধিকাংশ হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অনেকের ১৫ দিন আগেই সব রুম বুক হয়ে গিয়েছে দোলের সময়। অনেকের আবার দিন কয়েক আগেই বুকিং কমপ্লিট। স্বাভাবিকভাবেই এখন যারা দলের সময় তারাপীঠে থাকার পরিকল্পনা করছেন তাদের হোটেলের রুম পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।