৫৪ বছরের রেকর্ড ভাঙল এবারের মকর সংক্রান্তিতে, গরমের পাশাপাশি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি মানেই হাড়হিম করা ঠান্ডা। তবে এবছর কোথায় সেই ঠান্ডা! গত কয়েকদিন পর্যন্ত যেভাবে ঠান্ডার মুখোমুখি হতে হয়েছে বঙ্গবাসীকে সেই ঠান্ডা হঠাৎ শুক্রবার থেকে উধাও হয়ে যায়। পৌষ সংক্রান্তিতে এই ঠান্ডা উধাও হয়ে যাওয়ার ফলে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তির মুখোমুখি বাংলা। উষ্ণতার দিক দিয়ে ৫৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিল এবারের পৌষ সংক্রান্তি।

পৌষ সংক্রান্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুণ্য স্নানের হিড়িক দেখা যায়। এই সকল জায়গার মধ্যে লাখ লাখ পুন্যার্থীদের সমাগম হয়ে থাকে গঙ্গাসাগর, জয়দেব কেন্দুলী সহ বিভিন্ন জায়গায়। এই বছর মকর সংক্রান্তিতে শীতের সেই দাপট না থাকলেও বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলী অথবা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে কুয়াশার যথেষ্ট দাপট দেখা যায়।

উষ্ণতার দিক দিয়ে ১৯৬৯ সাল ছিল মকর সংক্রান্তির সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। কলকাতায় সেই বছর মকর সংক্রান্তিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০০ সালে মকর সংক্রান্তিতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এইসব রেকর্ড ভেঙে এই বছর মকর সংক্রান্তিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ালো ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কলকাতার পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ অনেক বেশি রয়েছে সুন্দরবন থেকে শুরু করে বীরভূমের মতো বিভিন্ন জেলাতে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সুন্দরবনে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের সর্বনিম্ন ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দু’ডিগ্রী বেশি।

শীতের দাপট কমার পাশাপাশি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত কুয়াশার দাপট অনেক বেশি দেখা যাবে। কুয়াশা দাপট এতটাই বৃদ্ধি পেতে পারে যে ২০০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমান্যতা নাও থাকতে পারে। এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় তৈরি হওয়ার কারণে বেশ কিছু জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।