মাংস খেতে বাধা, শ্বাশুড়ের অণ্ডকোষ ছিঁড়ল বউমা, এমন কাণ্ড আগে শুনেছেন!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাপের বাড়িতে রান্না হচ্ছিল মাংস। ফোন মারফৎ সেই খবর দেওয়ার পরেই বাড়ির গৃহবধূ বাপের বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরেন। তবে যখন ফোন আসে তখন তার স্বামী বাজার বেরিয়ে পড়েছিলেন। ওই গৃহবধূ ফোনে তার স্বামীকে বাপের বাড়ি যাওয়ার বায়নার কথা জানালে তৎক্ষণাৎ তিনি জানান, বাড়িতে মাংস নিয়ে আসছেন তাই আর বাপের বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই।

এই কথা শোনা মাত্রই ওই গৃহবধূ তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। বাড়িতে তুমুল চেঁচামেচি শুরু হয়। এর পাশাপাশি ওই গৃহবধূ গালিগালাজ দিতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ওই গৃহবধুর এমন রনংদেহি মূর্তি দেখে তা থামাতে যান তার শ্বশুড়। আর সেই সময়ই বাঁধে বিপত্তি। ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরের অণ্ডকোষ ধরে হ্যাঁচকা টান দেন। তারপরেই তার শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে যায়। মুহূর্তে যন্ত্রণায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শ্বশুর।

যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকা শ্বশুরকে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামের এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত গৃহবধূ ওই গ্রামের পাশের গ্রাম বাকচা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা সেখানে এসে হাজির হন। তবে তার পরেও চিৎকার চেঁচামেচি করে যান ওই গৃহবধূ।

এই ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে গ্রামের বাসিন্দারা বেঁধে মারধর করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। যদিও শেষমেষ ওই গৃহবধূ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে গা ঢাকা দেন। তবে গা ঢাকা দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ময়না থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ বাকচা গ্রাম থেকে গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে এবং মঙ্গলবার তাকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। মাংস খেতে বাপের বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা তৈরি হয় এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এইভাবে শ্বশুরের অণ্ডকোষ নিয়ে টানাটানি করার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।