HS 2025: বাবার মৃতদেহ সৎকার করে উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষায় বোলপুরের সুস্মিতা

বাবার মৃতদেহ সৎকার করে ইংরেজি পরীক্ষায় বীরভূমের এক ছাত্রী। পথ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রাণ হারান ওই ছাত্রীর বাবা। আর সেই দুঃখ বেদনাকে দূরে সরিয়ে বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বুধবার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালেন ওই পরীক্ষার্থী।

বীরভূমের বোলপুরের মহরমপুরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুস্মিতা সাহানির বাবা মহাদেব সাহানি মারা যান মঙ্গলবার দুপুরবেলায়। মহাদেব সাহানি গাড়ি চালকের পেশার সঙ্গে যুক্ত। তিনি সোমবার রাতে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় লালপুলের কাছে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল এবং সেখানে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নর্দমায় পড়ে যান।

আরও পড়ুন: Dear Lottery: লটারি টিকিট কেটে রেজাল্ট বেরোতেই থানায় ছুটে গেলেন ঠিকাদার

ঘটনার পর তার মাথায় চোট লাগে। কিন্তু সেই চোট সেইভাবে বোঝা যায়নি। পরদিন হাসপাতালে গিয়ে সমস্ত রকম স্ক্যান করার পর শরীরে কোন আঘাত ধরা না পড়লেও তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণে দুপুরবেলায় তিনি মারা যান। তার এমন মৃত্যুতে সাহানি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতে বাবার সৎকার করার পর বাবার স্বপ্ন পূরণে পরদিন সুস্মিতা সাহানিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।

সুস্মিতা সাহানি বোলপুর আশ্রম শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী এবং তার পরীক্ষা কেন্দ্র বোলপুর গার্লস হাই স্কুল। বাবার মৃত্যুর পর তিনি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছিলেন যে পরীক্ষা দেবেন না এমনটাই ঠিক করেছিলেন। তবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং প্রতিবেশীরা ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে বুঝিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনেন। অন্যদিকে সুস্মিতাও বাবাকে কথা দিয়েছিলেন ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করবেন। সেই কথা রাখার জন্য সুস্মিতাও রাজি হয় পরীক্ষায় বসার।

সুস্মিতা সাহানির খেলাধুলোয় যথেষ্ট নাম রয়েছে। ভলিবলে জেলার পাশাপাশি রাজ্য স্তরে তার যথেষ্ট নাম রয়েছে। তবে এইভাবে বাবাকে হারানোর পর পরীক্ষায় বসা তার কাছে যথেষ্ট কষ্টকর।