Illegal Poppy Cultivation: তৃণমূল কার্যালয় থেকে ২০০ মিটার দূরে, স্কুলের পাশে পোস্ত চাষ বীরভূমে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই হচ্ছে পোস্ত চাষ! আর এমন পোস্ত চাষের বিষয়টি জানেনা প্রশাসন। শুধু প্রশাসন নয়, যিনি এমন পোস্ত চাষ করেছেন তিনিও পোস্ত চাষ বেআইনি তা জানেন না। পুরো বিষয়টিই কেমন যেন জলঘোলা টাইপের।

বেআইনি পোস্ত চাষের এমন ঘটনাটি লক্ষ্য করা গেল বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত লায়েক বাজারে। সেখানে লায়েকবাজার রূপান্তরিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই এমন পোস্ত চাষ করা হচ্ছে। যিনি এমন পোস্ত চাষ করেছেন তিনি পোস্ত চাষ বেআইনি তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: North Bengal Train: উত্তরবঙ্গের জন্য নতুন ট্রেন দিল রেল, সহজ হল পাহাড় যাতায়াত

পোস্ত চাষ করা ওই ব্যক্তি শামসুদ্দিন জোয়ার দাবি করেছেন, তিনি মাত্র ২৫ গ্রাম পোস্তর বীজ এনে বাড়ির সংলগ্ন জমিতে চাষ করেছেন। কিন্তু পোস্ত চাষ যে বেআইনি তা তার জানা নেই। এর পাশাপাশি তার দাবি, এইটুকু জমিতে পোস্ত চাষ করে তা কিভাবে বেআইনি কাজে লাগানো যাবে! তিনি সামান্য পোস্ত চাষ করেছেন বাড়িতে খাওয়ার জন্য। একই দাবি করতে দেখা গিয়েছে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও।

পোস্ত চাষ এমন একটি চাষ যা কেবলমাত্র সরকারিভাবে হয়ে থাকে এবং পোস্তর খোলা ও আঠা নষ্ট করে দেওয়া হয়। কেননা পোস্তর খোলা ও আঠা থেকে আফিম তৈরি হয়ে থাকে, যার দাম বাজারে বিপুল। যদি কেউ এক বিঘা জমিতে ভালোভাবে পোস্ত চাষ করেন তাহলে তিন থেকে চার কেজি আঠা এবং ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি পোস্ত পাওয়া যায়। পোস্তর দাম বর্তমানে বাজারে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কিলো। কিন্তু আবার ওই আঠার দাম ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা কিলো, খোলার দাম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কিলো।

যে জায়গায় পোস্ত চাষ করা হচ্ছে সেই জায়গাটি যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পাশে, তেমনি আবার তৃণমূল কার্যালয়ে থেকে বড়জোড় ২০০ মিটার দূরে। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্কালীতলা অঞ্চলের তৃণমূলের কনভেনার আলেফ শেখ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। কেননা বাড়ির ভিতরে কে কি চাষ করছেন তার তাদের না জানাটাই স্বাভাবিক। তবে এমন ঘটনা হয়ে থাকলে পুলিশ সক্রিয়ভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।