India Ban Transshipment : ভারতের চালে ২০০০ কোটি টাকার ধাক্কা খেল বাংলাদেশ

India Ban Transshipment : সম্প্রতি ভারতের তরফে ট্রান্সশিপমেন্ট এর সুবিধা বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশের। যদিও তারপরই ১০ই এপ্রিল সে দেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা জোর গলায় দাবি করেছিলেন, ‘ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট এর সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না।’ তারপর বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টার গলায় শোনা গেল এক অন্য সুর। তার কথায়, ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল করায় খরচ বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের।
সেই বাড়তি খরচের পরিমাণ কিন্তু মোটেই কম নয়। সুবিধা বাতিলের পর খরচ আগের তুলনায় কতটা বেড়েছে তাও প্রকাশ করলেন তিনি।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন সম্প্রতি ঢাকার সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার কথায়, বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিল করার পর। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এই বিপুল পরিমাণ খরচ একবারে শূন্যে নামিয়ে আনবেন।
ঢাকায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট এর সুবিধা বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার জবাবেই বশিরুদ্দিন একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তার কথায়, বাংলাদেশের জানিয়েছে, তারা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যাতে এই বিপুল খরচ শূন্যে নামিয়ে আনা যায়। ভারত যেদিন ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছিল সেদিন থেকেই ঢাকা আলোচনার মধ্যে রয়েছে। পয়লা বৈশাখের গোটা দিনটা বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজে এয়ারপোর্টে কাটিয়েছেন। তার তরফে জানার চেষ্টা করা হয়েছে যে কীভাবে সমস্যা হচ্ছে।
তার তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘কেন আমাদের দেশের পণ্যবাহী কার্গোর আরেক দেশের সাহায্য নিয়ে তৃতীয় দেশে যেতে হচ্ছে’ তাও তিনি বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি আশাবাদী যে এই সমস্যা সমাধান ঠিক করতে পারবেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে মহম্মদ ইউনুস ভারতের ‘সেভেন সিস্টারের’ প্রসঙ্গ তোলেন। এমনকি সি জিন পিংয়ের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথকে ব্যবহারের জন্য চিনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ভারতের যাওয়ার পথ নেই সাগর পর্যন্ত, সেক্ষেত্রে ওই এলাকায় সাগর সংলগ্ন জায়গায় বাংলাদেশই অভিভাবক। বাংলার গা ঘেষে চিনের বন্দর গড়ার কথাও তোলেন প্রধান উপদেষ্টা। আর তাতেই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট এর সুবিধা বাতিল করে দেয় ভারত।