Indian universities world ranking: উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করে নির্দিষ্ট র্যাঙ্কিংএর ওপর ভিত্তি করে। যাতে ভবিষ্যত জীবন নিশ্চিত হয় তাদের। এই র্যাঙ্কিং নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের ওপর নজর রেখে।
বুধবার বিষয়ভিত্তিক কিউএস র্যাঙ্কিং এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের নাম খোদাই করে নিল এই তালিকায়। যা ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের। র্যাঙ্কিং এ স্থান পেয়েছে আইআইটি দিল্লি, জেএনইউয়ের মতো উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। তবে এই তালিকায় কিছুটা মান কমেছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এর। গতবারের তুলনায় র্যাঙ্কিং কম তাদের। ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ক্রমতালিকার শীর্ষে রয়েছে ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস।
আরও পড়ুন: Marriage Ideal age gap: চাণক্যের মতে স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত? জানুন বিশেষ তথ্য
র্যাঙ্কিং এর দিক থেকে ভারতকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। জয়ের মুকুট এখন তাদের মাথায়। ৩২৪৫টি র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের নাম। ৫৫টি বিষয়ের মধ্যে ৩২টি সেরা হয়েছে আমেরিকার হার্ভার্ড বা ম্যাসাচুসেটসের মতো নামী প্রতিষ্ঠানগুলি। অন্যদিকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ক্রমতালিকায় ৫৩৩বার জায়গা পেয়েছে।
র্যাঙ্কিং এর দিক থেকে দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে নাম রয়েছে ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস এর। মিনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাইনিং বিষয়ে গোটা বিশ্বে ২০ তম স্থানে রয়েছে ভারতের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নাম রয়েছে আইআইটি বম্বে এবং আইআইটি খড়গপুরেরও। বিষয়ভিত্তিক ক্রমতালিকায় তাদের নাম রয়েছে যথাক্রমে ২৮ ও ৪৫ নম্বরে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি বিষয়ের জন্য আইআইটি দিল্লি এবং আইআইটি বম্বে রয়েছে যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ নম্বরে। তবে তাদের মানও কমেছে গতবারের তুলনায়। বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের ক্রমতালিকায় যথাক্রমে ২৭ ও ৪০ নম্বরে রয়েছে আইআইএম আহমেদাবাদ এবং আইআইএম বেঙ্গালুরু।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এই বিষয়টির জন্য প্রথম ৫০ এর র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে দিল্লির জেএনইউ। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য আইআইটি মাদ্রাজের নামও রয়েছে সেরা ৫০-এর তালিকায়। আর্টস এবং হিউম্যানিটিজ বিষয়ে পড়াশোনার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬০ র্যাঙ্কিং এ স্থান পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ৪০১-৫০০ ক্রমতালিকার মধ্যে জায়গা দখল করে নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।