ইতি আসতে চলেছে টিউবলাইটের যুগের, ভারতে এই সময় থেকে বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও বন্ধ হতে চলেছে টিউবলাইট। পরিবেশ দূষণ, বেশি বিদ্যুৎ খরচ এবং আয়ু কম হওয়া সহ একাধিক দিকের দিকে তাকিয়ে বিশ্বজুড়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টিউবলাইটের ব্যবহার আগামী ৮ বছরের মধ্যেই একেবারে কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বালির মিনামাতা কনভেনশনে এমনটাই জানানো হয়েছে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে। পারদের প্রতিকূল প্রভাব কমানোর জন্য লিনিয়ার ফ্লুরোসেন্ট বাতি বা টিউব লাইটের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ আরও একাধিক টিউব লাইটের ব্যবহার বন্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তিম সাল হিসাবে ২০২৫ সালকে সামনে রাখা হচ্ছে। তবে ভারত আর কিছুটা সময় রেখে ২০৩০ সালকেই অন্তিম সাল হিসেবে সামনে রেখেছে। তবে তা হলেও ২০২৫ সালেই যাতে এর ব্যবহার বন্ধ করা যায় তার জন্য প্রাথমিক পর্যালোচনাও করা হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হল টিউব লাইটের মধ্যে কি এমন ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, যার জন্য গোটা বিশ্ব এর ব্যবহার বন্ধ করতে চাইছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মূলত তিনটি দিক সামনে এসেছে। প্রথমত হলো টিউবলাইটের মধ্যে পারদ থাকে। যে কারণে টিউবলাইট একবার খারাপ হলে তার যথোপযুক্ত রিসাইকেলিং প্রয়োজন অথবা সেটিকে সংগ্রহ করে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই ব্যবস্থা নেই। এর ফলে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হয়।

এছাড়াও টিউবলাইট ব্যবহার করলে বিদ্যুতের ব্যবহার এলইডি লাইট এর তুলনায় কয়েকগুন বেশি হয়। এর ফলে বিদ্যুতের অপচয় হয়। পাশাপাশি টিউবলাইটের পরমায়ু এলইডি লাইটের তুলনায় কম। যে কারণে অনেক বেশি টিউবলাইট খারাপ হয় এবং সেগুলি সঠিকভাবে রিসাইকেলিং না হওয়ার জন্য পরিবেশ দূষণ বাড়ে।