Pamban Bridge: এই দিন উদ্বোধন হবে দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট পাম্বান সেতুর, দেখে নিন বৈশিষ্ট্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : যতদিন যাচ্ছে ভারতীয় রেল (Indian Railways) ততই উন্নত হয়ে চলেছে। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে তাদের এই সকল উন্নতির নজির দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে। রেলের এই সকল কাজের নজির হিসেবে যার কথা না বললেই নয় সেটি হল পাম্বান ব্রিজ (Pamban Bridge)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সমুদ্রের উপর তৈরি এই রেল ব্রিজের উদ্বোধন হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসের শুরুতেই বলেই জানা যাচ্ছে।

তামিলনাড়ু এবং রামেশ্বরমের মাঝে মান্নার উপসাগরে উদ্বোধন হতে চলেছে পাম্বান ব্রিজের। ইতিমধ্যেই এই রেল ব্রিজ তৈরীর কাজ একেবারে শেষ মুহূর্তে চলে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে। ২০১৯ সাল থেকে এই পাম্বান সেতু তৈরির কাজ শুরু হয় আর অবশেষে সেই কাজ চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে। এই সেতু ভারতীয় রেলের একটি অদ্ভুত নির্মাণ। এই সেতু এমন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি যাতে ব্যবহার করা হয়েছে হাইড্রোলিক্স এবং যার মাধ্যমে এই সেতু ওঠানামা করবে।

এই ব্রিজটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে যখন সমুদ্র দিয়ে ক্রুজার শিপ আসবে তখন বৃষ্টি উঠে যাবে এবং সেই ক্রুজার শিপকে যাতায়াতে সাহায্য করবে। আবার যখন রেল পথ দিয়ে ট্রেন আসবে সেই সময় এই ব্রিজ নেমে যাবে আর ট্রেনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে সাহায্য করবে। বলা যেতে পারে এই ব্রিজের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই ধরনের ব্রিজ আগে কখনো তৈরি হয়নি।

আরও পড়ুন 👉 Benefits on Train tickets: বিয়ে না হওয়া মেয়েদের ট্রেনের টিকিটে বড় সুবিধা দিচ্ছে রেল, জানুন সেই সুবিধা

রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফ থেকে এই বৃষ্টি তৈরি করার জন্য ৫৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিপুল অংকের টাকা বরাদ্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে পুরাতন ব্রিজের সমান্তরালে তৈরি করা হয়েছে নতুন পাম্বান ব্রিজ। তবে আগে যে পাম্বান ব্রিজ ছিল সেটি এমন ভার্টিক্যাল লিফট প্রযুক্তির ছিল না। যে কারণে ভারতীয় রেলের হাত ধরে ভারত নতুন এই প্রযুক্তি পেতে চলেছে।

২.০৮ কিমির পাম্বান রেল সেতু এমন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে যার ফলে এই রেল লাইনের উপর দিয়ে উচ্চগতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। রামেশ্বরম দ্বীপের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। ১৯৮৮ সালে যখন আলাদা করে একটি সড়ক সেতু নির্মাণ হয়নি তখন পর্যন্ত এই রেলসেতুই ছিল মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগকারী মাধ্যম। বর্তমানে নতুন যে সেতু তৈরি করা হয়েছে সেটি সুনামি এবং সামুদ্রিক ঝড়ে যাতে কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।