হাওড়া থেকে কয়েক ঘন্টায় বারাণসী, বিশেষ এই ট্রেনের পরিকল্পনা রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের গণমাধ্যমের অন্যতম মেরুদন্ড হল রেল পরিষেবা। এই রেল পরিষেবাকে প্রতিনিয়ত উন্নত থেকে উন্নততর করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশন উন্নত থেকে উন্নততর করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি আবার দূরপাল্লার রুটে নতুন নতুন অত্যাধুনিক ট্রেন চালানো হচ্ছে। ঠিক এইরকমই একটি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হাওড়া রেল স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেন চলবে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, হাওড়া থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন। জাতীয় রেল পরিকল্পনায় ভারতীয় রেল চারটি নতুন বুলেট ট্রেন করিডোর যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে নয়টি শহরকে উচ্চ গতির রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রস্তাব রয়েছে তাতে যে সকল শহরের মধ্যে এই রেল নেটওয়ার্ক তৈরি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে সেগুলি হল হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে ৬১৮ কিলোমিটার, নাগপুর ও বারাণসীর মধ্যে ৮৫৫ কিলোমিটার, পাটনা ও গুয়াহাটির মধ্যে ৮৫০ কিলোমিটার, অমৃতসর, পাঠানকোট ও জম্মুকে ১৯০ কিলোমিটার। এছাড়াও বারাণসী ও হাওড়ার মধ্যে একটি ৭৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন একটি ট্র্যাক তৈরি করা হবে, তবে তা পাটনা নাকি গয়া-ধানবাদ হয়ে যাবে তা এখনো ঠিক হয়নি।

হাওড়া বারাণসী এই হাই স্পিড রেল করিডোর পরিকল্পনার উচ্চ গতির রেল লাইন দিয়ে হাওড়ার সঙ্গে বারাণসীর সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটিই দিল্লি-কলকাতা হাই-স্পিড রেল করিডরের একটি অংশ হয়ে উঠবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পূর্ব ভারতের তিনটি বড় শহরকে এক সুতোয় বাধা হবে। এই তিনটি শহর হল বারাণসী, পাটনা এবং কলকাতা। এই রুটের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৭৬০ কিলোমিটার। তবে এই প্রকল্পের জন্য কত খরচ হতে পারে অথবা কতগুলি স্টেশন সংযুক্ত হতে পারে তা এখনো ঠিক হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে প্রস্তাবিত যে স্টেশনগুলি রয়েছে সেগুলি হল বারাণসী, বক্সার, আরা, পাটনা, গয়া, ধানবাদ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান ও হাওড়া।

এই ধরনের রুটে ট্রেনের গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে দুর্ঘটনার দিকটিকে সবার আগে নজরে রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে লেভেল ক্রসিং সহ গবাদি পশুদের আনাগোনা যাতে লাইনের উপর না থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে পাঁচিল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।