লাল্টু: স্টেশন না থাকলেও ট্রেনের স্টপেজ! অবাক হচ্ছেন! অবাক হলেও কিন্তু এমনই ঘটে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। যদিও এমনটা রোজ ঘটে না, ঘটে কেবল বছরের একটি দিন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন অবিশ্বাস্য এবং অবাক করা ঘটনার আসল রহস্য।
আসলে এমনটা হয়ে থাকে একমাত্র আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার। বীরভূমের বুকে এমন বেনোজির ঘটনা ঘটে আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার আলম বাবার মাজারের পাশে থাকা রেল লাইনে। যেখানে নেই কোন স্টেশন, অথচ আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার সেখানে নিয়ম মেনে স্টপেজ দেয় ট্রেন।
আরও পড়ুন: ব্রিজের উপর নদীর জল, বানের জল দেখতে ভিড় উৎসাহী মানুষের
দুবরাজপুর শহর ঢোকার মুখে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বা অন্ডাল-সাঁইথিয়া রেল লাইনের ধারেই রয়েছে আলম বাবার মাজার। দুবরাজপুরে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে শতাব্দীপ্রাচীন আলম বাবার উরস উৎসবে সকাল থেকে ভক্তদের সমাগম। আষাঢ় মাসের চতুর্থ শুক্রবার এই উৎসব হয়ে থাকে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলেই আসেন এখানে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও, ভিন রাজ্য থেকেও আসেন ভক্তরা। কেউ আসেন মনস্কামনা করতে। আবার কেউ আসেন মনস্কামনা পূরণ হলে।
বসে এক দিনের মেলাও। ফকিরি ও বাউলগানের আসর বসেছে। এখানে কোনো স্টেশন না থাকলেও প্রতি বছর একদিন দাঁড়ায় ট্রেন। অনেক ভক্ত এই ট্রেন থেকে নামেন, আবার অনেক ভক্ত বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরেন। আর দুবরাজপুর ও চিনপাই রেল স্টেশনের মাঝে থাকা আলম বাবা মাজারে কাছে আলম বাবা উরস মোবারক উপলক্ষে ট্রেন দাঁড়ানোর কথা প্রেস রিলিজ করে জানায় রেল। ভক্তদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেই জন্যই রয়েছে দুবরাজপুর ও সদাইপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পাশাপাশি রয়েছে রেল পুলিশও।