Insurance claims will not be met in case of death due to this reason even if the policy is made for a large sum of money: ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকেই আয় করা অর্থ থে কিছু টাকা করে সঞ্চয় করেন। কেউ কেউ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করেন তো কেউ আবার বীমাতে (Insurance Claims) বিনিয়োগ করেন। যার ফলে সেই ব্যক্তির কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পরিবারের ভবিষ্যৎ বেঁচে যায়। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় আগে থেকেই সতর্ক করে দেওয়া হয় বীমা তরফে। যে বিষয় বা কারণগুলিতে ব্যক্তির মৃত্যু হলে পলিসির অর্থ দিতে অস্বীকার করে সেই বীমা সংস্থা। যার ফলে ব্যক্তির পরিবারকে সে অর্থ পেতে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই সময় থাকতে বীমাকারীরা জেনে নিন কোন কারণ বা বিষয়গুলি থেকে এড়িয়ে চলবেন। কোন কোন দুর্ঘটনায় বিমা সংস্থা গ্রাহকের পরিবারকে অর্থ ফেরত দেবে না।
ভয়ংকর স্টান্টে মৃত্যু
কোনো পলিসি হোল্ডারের যদি স্কুবা ড্রাইভিং, গাড়ি রেস, স্কাই ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাহলে সেই পরিবার বীমা সংস্থা থেকে একটা টাকাও পাবে না। বীমাতে (Insurance Claims) আগে থেকেই উল্লেখ থাকে যে বিপদজনক বা ভয়ঙ্কর স্টান্টে মৃত্যু হলে বীমা সংস্থা থেকে নমিনিকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। তাই যারা বীমা করেছেন বা বীমা করবেন ভাবছেন তারা এই বিষয় থেকে দূরে থাকুন। তা না হলে পরিবারে ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে মৃত্যু
ভুলেও কখনো পলিসি হোল্ডাররা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়বেন না। কোনো বীমা গ্রাহক যদি খারাপ কোনো কাজে জড়িয়ে খুন হয় তাহলে সেই হোল্ডারের নমিনি বীমা সংস্থা থেকে কোনো অর্থ পাবে না। পাশাপাশি যদি অপরাধমূলক কাজে পুলিশের দ্বারা এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রেও পলিসি হোল্ডারকে কোনো টাকা দেবে না বীমা কোম্পানি।
গোপনীয় অসুস্থতায় মৃত্যু
এইডস বা কোনো গোপন অসুস্থতায় হঠাৎ করে মৃত্যু ঘটলে বীমা সংস্থা হোল্ডারের পরিবারকে সমস্যায় ফেলতে পারে। টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করতে পারে। তাই কোনো গোপন রোগ থাকলে তা লুকিয়ে বীমা করতে যাবে না। বিমায় পুরো টাকাটাই জলে যাবে।
আরও পড়ুন ? Salary Hiked of LIC Employees: শুধু সরকারি কর্মচারীরা নন, এবার এত টাকা বেতন বাড়ল এলআইসির কর্মীদেরও
নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মৃত্যু
পলিসি হোল্ডারের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে হোল্ডারের পরিবার সংস্থা থেকে পুরো টাকাটাই ফেরত পায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডার যদি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে বা কোনো দুর্ঘটনা মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে কোম্পানি তরফে সেই টাকা পরিবারকে ফেরত দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে ময়না তদন্তের রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর হোল্ডারের শরীরে যদি কোনো নেশার জিনিস পাওয়া যায় তাহলে পরিবারের বীমা থেকে অর্থ পাওয়া মুশকিলের হয়ে দাঁড়াবে।
নমিনি দ্বারা পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু
কোনো কোনো সময় বিমার পলিসি হোল্ডারের যদি মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে মৃত্যুর জন্য নমিনিকে দায়ী করা হয়। অভিযোগ ওঠে হোল্ডারের টাকা নেওয়ার জন্যই নমিনি হোল্ডারকে খুন করেছে। এই ধরনের অভিযোগে কখনই বিমা (Insurance Claims) মনোনীত ব্যক্তিকে অর্ধ ফেরত দেয় না। তবে মনোনীত ব্যক্তি যদি আদালত থেকে ক্লিনচিট পায় তবে বিমা সংস্থায় আবেদন করলে পলিসি হোল্ডারের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
এই সবকিছুর পাশাপাশি কোনো পলিসি হোল্ডার যদি প্রসবকালীন সময়ে বা প্রাকৃতিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রেও বিমা হোল্ডারের মনোনীত ব্যক্তিকে অর্থ দিতে অস্বীকার করে বিমা কোম্পানি। পরিবার বিমা সংস্থা থেকে কোনো অর্থ ফেরত পায় না।
আত্মহত্যা
বিমা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা IRDA নিয়ম অনুযায়ী কোনো পলিসি হোল্ডার বিমায় (Insurance Claims) বিনিয়োগ করার এক বছরের মধ্যে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে সেই পরিবার মূল্যের পুরো টাকাটাই ফেরত পায়। এক্ষেত্রে বিমা সংস্থা তরফে অস্বীকার করা হয় না। তবে নন লিঙ্কড প্ল্যান থাকলে মনোনিত ব্যক্তি বিনিয়োগের ৮০ শতাংশ ফেরত পান। যদি লিঙ্কড প্ল্যান থাকে এক্ষেত্রে বিনিয়োগে যে নমিনি থাকে তিনি বিনিয়োগের ১০০ শতাংশই ফেরত পান।