ইচ্ছেই সব, মুদির দোকান চালিয়ে রেলের মোটা বেতনের চাকরি, আশার আলো দেখাচ্ছে অভিষেক

অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র অভিষেক। কিন্তু অভাবের তাড়নায় দোকানে বসেই পড়াশোনা করতে হতো তাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি দোকানও সামলাতেও হয়েছে তাকে। আর এই সবেরই মাঝে সে ইউটিউবের সাহায্যে পড়াশোনা করে সে। আর বিভিন্ন বইপত্রের মাধ্যমে নিজেই পড়ে সে। এবং শেষমেষ রেলের স্টেশন মাস্টারের চাকরিটি পায়।

ছেলেটির নাম অভিষেক প্রসাদ, বাবা সঞ্জয় প্রসাদ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, মা পুষ্পা প্রসাদ গৃহবধূ, দুই বোন নিশা এবং খুশবু এখনও স্কুলে পরে। মাল শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পানোয়ার বস্তি এলাকার বাসিন্দা তারা। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেয় অভিষেক। ছোটবেলা থেকে মেধাবী সে।

হিন্দি মাধ্যমের বিএল উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশুনো করে সে। ২০১৩ সালে মাধ্যমিকে ৭০% নম্বর পেয়ে পাশ করে অভিষেক। উচ্চমাধ্যমিকে ৭৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে ২০১৫ সালে উত্তীর্ণ হয় । এরপর মাল পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি।

কিন্তু তাদের অভাবের সংসার। পড়াশোনা চালানোর জন্য দোকানের কাজও করতে হয় তাকে। প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়নি সে। বাড়িতে নিজেই বই কিনে পড়াশোনা করেছে। মাঝেমধ্যে ইউটিউব দেখেই পড়াশোনা করেছে সে। আর শেষ পর্যন্ত নিজের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে অভিষেক। নিয়োগপত্র পাবার পরই রঙ্গিয়াতে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের পদে যোগদানও করে সে।

কঠোর পরিশ্রমের ফলে সফলতা মিলেছে তার। এই তরুণের সাফল্যকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই। আর তার পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে একটি শ্রেণীর চাকরি প্রার্থীরা। অভিষেকের সাফল্যে খুশি গোটা পরিবার। আর অভিষেকের বক্তব্য, সে মনে করে লক্ষ্য স্থির থাকলে ও নিবিড় প্রস্তুতি নিলে অনেকেই সফল হতে পারে।