শীর্ষে জামশেদজি টাটা, সমাজসেবায় পিছিয়ে পড়লেন বিল গেটস, রইলো অনুদানের হিসাব

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের প্রতিটি প্রায় ধনকুবেরই সমাজসেবায় নিজেদের আয় থেকে কিছুটা অংশ সমাজসেবায় অনুদান হিসেবে দান করে থাকেন। আর এই অনুদান নিয়ে বারংবার তারা চর্চায় আসেন। আর নানান পরিসংখ্যান থেকে এই সকল ধনকুবেরদের মধ্যে সমাজসেবায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে তারও তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি এমনই এক তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, এই সমাজ সেবার নিরিখে এবার বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটের মতো ধনকুবেররাও পিছিয়ে পড়লেন টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার কাছে। ওই তালিকা অনুযায়ী গত শতাব্দীর সেরা সমাজসেবীর শিরোপা পেলেন জামসেদজী টাটা।

গত শতাব্দীতে সমাজসেবার নিরিখে কোন ধনকুবের সবার শীর্ষে রয়েছেন তার তালিকা বের করার জন্য হুরুন রিপোর্ট অ্যান্ড এডিলগিভ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা ৫০ জন সমাজসেবীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকাতেই সবার শীর্ষে রয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজী টাটা। পাশাপাশি এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন উইপ্রো গোষ্ঠীর কর্ণধার আজিম প্রেমজিও।

ওই সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, জামসেদজী টাটা গত শতাব্দীতে সবমিলিয়ে সমাজ সেবার জন্য অনুদান হিসেবে দিয়েছেন ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অঙ্ক বিল গেটস অথবা অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বিল গেটস এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী মেলিন্ডা অনুদান করেছিলেন ৭৪.‌৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়ারেন বাফেটের অনুদানের পরিমাণ ৩৭.‌৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জর্জ সোরোস মোট অনুদান দিয়েছেন ৩৪.‌৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জন ডি রনফেলার অনুদান দিয়েছেন ২৬.‌৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উইপ্রো গোষ্ঠীর কর্ণধার আজিম প্রেমজির ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান করেছেন সমাজসেবায়।

জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজী টাটা ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ থেকে সমাজ সেবার জন্য দান ধ্যান শুরু করেন। এরপর তিনি তার মোট সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ রেখে বাকি সমাজ সেবার জন্য দান করেছেন। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে খরচ করা টাটা গোষ্ঠীর এই অর্থ অন্যতম অবদান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

হুরুন রিপোর্ট অ্যান্ড এডিলগিভ ফাউন্ডেশন নামে এই সংস্থা যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তাতে যে ৫০ জন সমাজসেবীর নাম রয়েছে তাদের মধ্যে ৩৮ জন হলেন আমেরিকার, ৫ জন হলেন গ্রেট ব্রিটেনের, ৩ জন চীনের, ভারতের ২ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের। তবে এই ৫০ জন সেরা সমাজসেবীর মধ্যে বর্তমানে বেঁচে রয়েছেন মাত্র ১৩ জন।