Kalighater Kaku: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় সফলতা, পুরো ফেঁসে গেলেন কালীঘাটের কাকু

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে যে সকল দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম তার মধ্যে অন্যতম হলো নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্তে নেমে একের পর এক সফলতা অর্জন করেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেল বন্দি রাজ্যের তাবড় তাবড় নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা। আর এবার এই দুর্নীতি মামলায় আরও বড় সফলতা পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন সফলতায় রীতিমতো ফেঁসে গেলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে প্রথম থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল, কালীঘাটের কাকুর কলকাঠিতেই অনেক কিছু হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। আর এবার সেই বিষয়টি প্রমাণ হয়ে গেল বলে জানা যাচ্ছে।

সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল বেরাকে কেউ একজন ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত যা তথ্য রয়েছে সব যেন মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। কে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা কালীঘাটের কাকুকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালালেও বারবার তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন 👉 Rainfall Forecast South Bengal: অতীত হবে তাপপ্রবাহ! অবশেষে স্বস্তির খবর দক্ষিণবঙ্গে, এই দিন থেকে ঝেঁপে আসবে বৃষ্টি

এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার। তবে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে গিয়েও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বারবার বাধার মুখোমুখি হতে হয়। শেষমেষ আদালতের হস্তক্ষেপে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তারপর তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই পাঠানো সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা নিয়ে রাজ্যের মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। কেননা কৌতূহলী প্রত্যেকের মধ্যেই প্রশ্ন, কি হলো সেই নমুনার? সত্যিই কি শুধুই কৃষ্ণভদ্রের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলল ফোনে কথা বলা ব্যক্তির কন্ঠস্বর? হ্যাঁ, উত্তর মারফৎ যা জানা যাচ্ছে তাতে রাহুল বেরাকে নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর। আর এর ফলে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় সাফল্য পেল বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা এই সফলতা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে আরও তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে সফল হবে।