‘আমি ফিরছি’, হেরেও ঘূর্ণিঝড়ের আগে মানুষের সাথে থাকার আশ্বাস কান্তি গাঙ্গুলির

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত কয়েক বছর ধরে নির্বাচনের হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলিকে। কিন্তু তিনি বারবার হারের মুখ দেখলেও কখনোই আপদে-বিপদে এলাকার মানুষদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেননি। আর এবারও যখন বিপুল ক্ষয়ক্ষতির ভ্রুকুটি তৈরি করছে ঘূর্ণিঝড় যশ, তখনো তার থেকে এই আশ্বাসবাণীই শোনা গেল।

সম্প্রতি প্রবীণ এই সিপিআইএম নেতা তার ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘আমি ফিরছি’। এর আগেও গতবছর আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাকে হেরো নেতা হিসাবেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। যা শেষ সময় আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছিল রাজ্যের মানুষদের কাছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় বজায় রাখলেন ‘ক্লান্তিহীন’ কান্তি গাঙ্গুলী।

ঘূর্ণিঝড় যশ যখন রাজ্যের প্রতিটি মানুষেরই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সময় কান্তি গাঙ্গুলি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর ত্রাণ কেন্দ্রর কাজ চলছে পুরোদস্তুর। আমি ফিরছি সুন্দরবনে ঝড়ের বিরুদ্ধে তৈরী হতে।’

এর পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকার এবং সাধারণ মানুষের কাছে দুটি আবেদন রেখেছেন। একটি হলো, ‘ফ্লাড শেল্টারে মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার আগে দেহের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হোক। অসুস্থ সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা আশ্রয় তৈরী করা হোক, যাতে গ্রামে করোনা আরও ছড়িয়ে না যায়।’

দ্বিতীয়টি হলো, ‘মানুষ পানীয় ও দরকার পড়লে বৃষ্টির জল যেন জমা করে রাখেন কারণ বাঁধ ভাঙলে নোনা জল পানের অযোগ্য।’

[aaroporuntag]
সম্প্রতি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় প্রবীণ এই সিপিআইএম নেতা গত দুবারের মতোই পরাজিত হয়েছেন। যেখানে রাজ্যের একাধিক নেতাদের পরাজিত হয়ে নীরবতা পালন করতে দেখা যাচ্ছে সেই সময় কান্তি গাঙ্গুলি কিন্তু হেরেও মানুষের পাশে রয়েছেন এবং কাজ করে চলেছেন। তিনি মুকুন্দপুরে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনীর উদ্যোগে একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার খুলেছেন। যেখানে রয়েছে ৫০টি শয্যা। এই হাসপাতাল যেমন ঝাঁ-চকচকে ঠিক তেমনই দেখার মত।