কৃষকদের লাভের মুখ দেখাতে দেশে চালু হলো ‘কিষাণ ট্রেন’

নিজস্ব প্রতিবেদন : যে সমস্ত শাক সবজি অথবা ফল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় সেগুলিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেলের নতুন প্রয়াস কিষাণ ট্রেন। এই ট্রেন চলবে কেবলমাত্র কৃষকদের স্বার্থে। তবে ভারতে এই প্রথম এই কৃষাণ ট্রেন ব্যবস্থা চালু হলেও এই ধরনের ট্রেনের প্রস্তাব ২০০৯-১০ সালের রেল বাজেটেই উঠেছিল। তৎকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৭ই আগস্ট মহারাষ্ট্রের দেবলালি থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত দেশে প্রথম কিষাণ ট্রেন চলল। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশ হওয়ার সময় এই কিষাণ ট্রেনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই নতুন ট্রেন ব্যবস্থা চালু করার পর কেন্দ্রের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, যে সমস্ত সবজি অথবা ফল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় সেই সকল সবজি ও ফলকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭ আগস্ট প্রথম এই ট্রেন পরিষেবা চালু হলো। এরপর প্রতি সপ্তাহে একটি করে কিষাণ ট্রেন চলবে। এদিন সকাল ১১ টায় এই ট্রেনটি মহারাষ্ট্রের দেবলালি থেকে রওনা দেয়। ট্রেনটি যাত্রাপথে ১৫১৯ কিমি রাস্তা পাড়ি দিয়ে আগামীকাল সন্ধ্যে পৌনে ৭ টায় দানাপুর পৌঁছে যাবে।

কিষান স্পেশাল ট্রেনের কামরাগুলি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। যাতে করে শাকসবজি অথবা ফল নষ্ট হয়ে না যায়। এই কিষান স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে উৎপাদিত ফল, ফুল, সবজি দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে গেলে নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। পাশাপাশি তরতাজা সেই সকল খাদ্য সামগ্রীগুলি অন্যত্র দ্রুত পৌঁছে যাবে। বর্তমানে এই ট্রেনটি নাসিক রোড, মনমাড়, জলগাও, ভুসাবল, বুরহানপুর, খন্ডবা, ইটারসি, জবলপুর, সতনা, কটনি, মণিকপুর, প্রয়াগরাজ, ছৌকি, দীনদয়াল উপাধ্যায়, বক্সার সহ বিভিন্ন জায়গায় এই সকল কাঁচা সবজি ও ফল পৌঁছে দেবে। আগামী দিনে এরকম আরও কিছু স্পেশাল ট্রেন চালু হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।