জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া মানুষের রোজের জীবনযাত্রা কল্পনা করা যায় না। খাবার জল থেকে প্রতিদিনের অন্যান্য ব্যবহারের জল সবটাই হওয়া উচিত বিশুদ্ধ। কারণ নোংরা জল থেকেই বাঁধতে পারে বড়সড় অসুখ বিসুখ। বর্তমানে অনেক বাড়িতেই বোতলজাত জল বা মিনারেল ওয়াটারের নামে নিম্নমানের ও দূষিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
আপনি যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আজকের এই তথ্য আপনার কাজে লাগবে। বিশুদ্ধ জল শরীরকে হাইড্রেট রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু যদি এই জলই দূষিত হয়, তাহলে তা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অস্বচ্ছ বা দূষিত জল পান করার ফলে হেপাটাইটিস-বি, টাইফয়েড, কলেরা ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কিছু লোককে দেখলেই কুকুর চিৎকার শুরু করে! কেন এমন করে তারা?
এই সমস্যা এড়াতে সবার উচিত নিজে থেকেই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে জল পরিশোধন করা। কীভাবে করবেন? দেখে নিন কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায়:
প্রথমত, জলকে নিরাপদ করার সবচেয়ে প্রচলিত এবং কার্যকর উপায় হল অন্তত ১৫–২০ মিনিট ধরে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নেওয়া। এতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবী ধ্বংস হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, পরিষ্কার একটি বোতলে জল ভরে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে ৫–৬ ঘণ্টা রোদে রেখে দিতে হবে। সূর্যের UV রশ্মি জলকে জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, আয়োডিন একটি কার্যকর জীবাণুনাশক, যা জল থেকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। যদিও এর স্বাদ কিছুটা তিতকুটে হতে পারে।
চতুর্থত, তরল ক্লোরিনও জল পরিশোধনে ব্যবহৃত হয়। তবে এর ডোজ সঠিকভাবে মাপতে না পারলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
পঞ্চমত, একটি হাঁড়িতে অর্ধেক জল নিয়ে ঢাকনাটি উল্টো করে দিন এবং মাঝে একটি কাপ রাখতে হবে। ২০ মিনিট ফুটালে বাষ্প ঢাকনার সঙ্গে সংস্পর্শে এসে জলের ফোঁটাগুলিকে কাপের মধ্যে ফেলবে। এই জল নিরাপদ ও বিশুদ্ধ।
ষষ্ঠত, যদি জলে দৃশ্যমান ময়লা, কাদা বা ধুলো থাকে, তাহলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে পারেন। এতে বড়ো কণাগুলি ফিল্টার হয়ে যায়।
সপ্তমত, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির কলসিতে জল সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধ করার রীতি চলে আসছে। এখনো অনেক গ্রামীণ অঞ্চলে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।