নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনার অলংকার (Gold) থেকে শুরু করে সোনার অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রতি প্রতিটি মানুষেরই আকর্ষণ রয়েছে আলাদা। পুজো পার্বণ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় সোনা কেনার জন্য অনেকেই মুখিয়ে থাকেন। তবে প্রশ্ন হল বাড়িতে কতটুকু সোনা রাখা যেতে পারে? এর জন্য আবার ছেলে ও মেয়েদের আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে।
ভারত সরকারের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকরা বাড়িতে ঠিক কতটুকু সোনা রাখতে পারবেন তা সম্পর্কে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এইসব নিয়ম জারি রয়েছে এবং সেই নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতেই নজরদারি চালিয়ে থাকে আয়কর দপ্তর। আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে নজরদারি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কোনরকম অসন্তোষ পাওয়া গেলেই আয়করের নোটিশ দেওয়া হয়।
আয়কর দপ্তর ভারতীয়দের বাড়িতে সোনা মজুত রাখার ক্ষেত্রে সেইভাবে কোন ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয়নি। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর (CBDT) যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বাড়িতে যত খুশি সোনা মজুত রাখতে পারেন। তবে সেই সোনা মজুত রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে ভারতীয় নাগরিকদের।
আরও পড়ুন ? Saudi Arab Gold Mines: মাটি খুঁড়লেই তাল তাল সোনা! রাতারাতি বড় লোক ভারতের হাতের কাছের এই দেশ
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) জানিয়েছে, একজন ব্যক্তি বাড়িতে যত খুশি সোনা মজুত রাখতে পারেন, তবে তার বাড়িতে মজুত থাকা সোনার বিষয়ে সমস্ত তথ্য থাকতে হবে আয়কর দপ্তরের কাছে। অনেকেই রয়েছেন যারা উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা উপহার থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা পেয়ে থাকেন। কিন্তু সেই সোনা সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া পরিমাণ ছাড়ালেই তা জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে।
ভারতের আয়কর দপ্তরের নিয়ম অনুসারে একজন পুরুষ কোনরকম তথ্য প্রমাণ না দিয়েই ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনা নিজের কাছে রাখতে পারবেন। একজন অবিবাহিত মহিলা ২৫০ গ্রাম সোনা রাখতে পারবেন এবং বিবাহিত একজন মহিলা ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনা রাখতে পারবেন। এই পরিমাণের সোনা কারো বাড়িতে থাকলে তার জন্য কোন তথ্য প্রমাণের প্রয়োজন হবে না। তবে এর থেকে বেশি সোনা মজুত রাখতে গেলেই তথ্য-প্রমাণ রাখতে হবে এবং আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের হানা হলে সেই সকল প্রমাণ দেখাতে হবে। এছাড়াও আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময়ও এই বিষয়ে তথ্য পেশ করতে হবে।