আর কষ্ট নয়! হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে বাংলা! বর্ষা ঢুকছে এই দিন

নিজস্ব প্রতিবেদন : জুন মাসের ১৫-১৬ তারিখকেও নাজেহাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। সচরাচর খুব কম ক্ষেত্রে এমন ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। খুব কম ক্ষেত্রেই জুন মাসের মাঝামাঝি সময়েও তাপপ্রবাহে (Heatwave) পুড়তে দেখা গিয়েছে বাংলাকে। তবে উপায় নেই, কেননা এখনো দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রার পারদ রয়েছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪২° পার করেছে।

তবে এমন হাঁফ ছাড়া পরিস্থিতি আর বেশি দিন চলবে না এমনই জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে। এমন পরিস্থিতি থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি মিলবে এমনটাই জানাচ্ছে হওয়া অফিস (Weather Office)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে মূলত জানানো হয়েছে, কবে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে? তবে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে হাজির হবে বর্ষা (Monsoon)?

কেরালায় এই বছর নির্দিষ্ট সময়ের থেকে সাত দিন পরে বর্ষার আগমন হয়। তবে আশার আলো এটাই যে কেরালায় বর্ষা আগমনের পর পরই বর্ষা প্রবেশ করে উত্তরবঙ্গে। এখন শুধু এই বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করার অপেক্ষায়। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গতি মতি নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে নানান প্রশ্ন থাকলেও হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বছর বর্ষা হবে স্বাভাবিক।

উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন ঘটতে এখনো বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আর বর্ষার আগমন না হওয়া পর্যন্ত এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে ১৮ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে।

দক্ষিণবঙ্গে এত দেরিতে বর্ষা প্রবেশ সচরাচর দেখা যায় না বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। পাঁচ বছর আগে এইরকম দেরিতে বর্ষা ঢুকে ছিল দক্ষিণবঙ্গে। এই বছর বর্ষা যতদিন না ঢুকছে ততদিন পর্যন্ত চরম ভোগান্তির মধ্যে কাটাতে হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের, বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দাদের। কেননা এই সকল জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা।