সামনেই দোল পূর্ণিমা। বাঙালির ঘরে ঘরে দোল পূর্ণিমাকে ঘিরে পুজো পার্বনের বিশেষ রীতি রয়েছে। তবে অবাঙালিদের মধ্যেও এই রঙের উৎসব পালিত হয় ‘হোলি’ হিসেবে। জানেন কি কোথাকার হোলি সবচেয়ে জনপ্রিয়?
ব্রজের হোলি সারা পৃথিবী বিখ্যাত। দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই ব্রজ ভূমিতে। ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। পদ্মশ্রী মোহন স্বরূপ ভাটিয়া ব্রজের হোলি শুরুর ইতিহাসের সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
রাধার জন্মস্থান বরসানাতে প্রথম শুরু হয় ব্রজের হোলি। ব্রজে হোলি উৎসবের অন্যতম এক গুরুত্ব রয়েছে। ভেদাভেদ ভুলে সারা বিশ্বের মানুষ মেতে ওঠেন এই হোলিতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নিরাপত্তার দিকেও সরকারের তরফে জোর দেওয়া হয়। এখানকার মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারি প্রশাসন পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে। কথিত আছে যে বসন্ত পঞ্চমী থেকে এই হোলি শুরু হয় যা চলে প্রায় ৪৫-৫০ দিন ধরে। ব্রজে বিভিন্ন ধরণের হোলি খেলা ও উদযাপন করা হয়। কেউ লাল নীল সবুজ রঙের ফোয়ারা ছোটায় আবার কেউ শুকনো আবির খেলার মজা নেন। চারিদিকে তাকালেই শুধু রঙের মেলা।
আরও পড়ুন: Oldest Railway Junction: হাওড়া বা শিয়ালদহ নয়! দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীনতম রেলওয়ে জংশন কোনটি?
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে বলা হয়, ব্রজে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা প্রথম হোলি খেলেছিলেন। কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং তাঁর গোপালদের সঙ্গে হোলি খেলা শুরু করেছিলেন। নানান স্বাদের হোলি যেমন লাড্ডু হোলি, ফুলের হোলি, লাঠমার হোলি, রং-আবির হোলি খেলা হয় এখানে। ব্রজে হোলির উৎসব শুরু হয় বসন্ত পঞ্চমীতে।
বরসানার লাঠমার হোলি হল ভগবান কৃষ্ণের তাঁর সময়কালের বিনোদনের এক অন্যতম অংশ। শ্রীকৃষ্ণ হোলি খেলতে বরসানায় পৌঁছতেন। রাধা ও গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে লাঠি দিয়ে প্রহার করতেন। আত্ম রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখারা ঢাল ব্যবহার করে করতেন সে সময়ে। ধীরে ধীরে ঢাল ব্যবহারের এই প্রথা হোলির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। সেই থেকেই চলে আসছে বিশ্ব বিখ্যাত এই ব্রজের হোলি।