নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রতিদিন দেশের প্রায় ৮০০০ রেলস্টেশন থেকে ১২ হাজারের কাছাকাছি লোকাল, এক্সপ্রেস, মেল ইত্যাদি ট্রেন ছেড়ে থাকে। এই সকল ট্রেনের কোনোটি অল্প দূরত্বের জন্য কয়েক ঘণ্টাতেই গন্তব্যে পৌঁছে যায়, আবার কোন কোন ট্রেন রয়েছে যেগুলি এতটাই দূরে যায় যে তাদের পৌঁছাতে দিনের পর দিন সময় লাগে। রেলের তরফ থেকে দেশের প্রায় এক কোটি মানুষকে প্রতিদিন এই ভাবেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে যে সকল যাত্রীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন তাদের ভারতীয় রেলের নিজস্ব যে সকল নিয়ম রয়েছে সেই সকল নিয়ম মেনে যাতায়াত করতে হয়। এই সকল নিয়মের মধ্যে যেমন প্রতিটি যাত্রীদের কাছে বৈধ টিকিট থাকা প্রয়োজন ঠিক সেইরকমই অন্যান্য সকল নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সেই সকল নিয়ম না মানলেই রেলের নিয়ম অনুসারে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।
রেলের অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা দূরদূরান্তে যাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন ট্রেনে সফর করে থাকেন। তাদের ট্রেনে সফর করার সময়ই মোবাইল থেকে শুরু করে ল্যাপটপ ইত্যাদি চার্জ (Mobile Charging rules in train) দিতে হয়। তবে এই সকল ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রেও রেলের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। আর সেই নিয়ম অমান্য করলে রীতিমতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় নিয়ম অমান্যকারী যাত্রীদের।
ট্রেনের মধ্যে মোবাইল, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলের তরফ থেকে যে সকল নিয়ম জারি করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যাত্রীরা এই সকল গ্যাজেট ট্রেনের মধ্যে চার্জ দিতে পারবেন না। ২০১৪ সাল থেকেই এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। তবে রেল যাত্রীদের এই নিয়ম সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় এই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা বের করা হয়।
রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি ট্রেনের মধ্যে চার্জ দেওয়া বারণ করা হয় কারণ, প্রথমত অনেক যাত্রীরা রয়েছেন যারা চার্জ দিয়ে ভুলে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ চার্জ হওয়ার ক্ষেত্রে শক সার্কিট সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও রাত্রের দিকে ভোল্টেজ কম থাকার কারণেও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।