নিজস্ব প্রতিবেদন : ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে শীত (Winter) এমনই জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস (IMD) সূত্রে। শুধু বিদায় নেওয়া নয়, এর পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভারতে শুরু করবে তাপমাত্রা এবং দাপিয়ে বেড়াবে গরম (Summer)। চলতি বছর যেমন দক্ষিণবঙ্গে শীতের দাপট দেখা গিয়েছিল ঠিক সেই রকমই ফেব্রুয়ারি থেকেই গরমের দাপট দেখার সূচনা হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রির নিচে ছিল। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ আরও অনেকটাই কম ছিল। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উচ্চচাপ বলয় এবং ঝাড়খণ্ডের ঘূর্ণাবর্ত এই তাপমাত্রাকে আচমকা বৃদ্ধি করে দেয়। এখনো অবধি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ২০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও গরম কিন্তু ভালই অনুভব হতে শুরু করেছে দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায়।
এমন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আইএমডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাস হবে কিছুটা শীতল এবং কিছুটা উষ্ণ। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ঠান্ডা থাকবে। তবে এরপর তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গড়বৃষ্টি হতে পারে ৭.৪৪ মিমি। আবহাওয়াবিদ হিমাংশু শর্মা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলার বাসিন্দারা শীত ও গ্রীষ্মের মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকবেন।
এর পাশাপাশি আবহাওয়াবিদদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমতলে এই বছর বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পাহাড়ি এলাকায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে দেখা যাচ্ছে লাগাতার ভাবে। এমন পরিস্থিতির কারণ হলো মেঘের উচ্চতা বেশি থাকা। যে কারণে মেঘ পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে আর সেই সকল জায়গাতেই বৃষ্টি ও তুষারপাতের মত পরিস্থিতি তৈরি করছে।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি থাকবে। তবে কোথায় কোথায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি থাকবে তা এখনই স্পষ্ট নয়। বৃষ্টির পরিমাণ বেশ কিছু জায়গাতে স্বাভাবিক থাকতেও পারে। আবহাওয়াবিদদের এমন পূর্বাভাসে রীতিমত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অনেকেই। কেননা দক্ষিণবঙ্গ এমন এক জায়গা যেখানে শীতের প্রকোপের চেয়ে গরমের প্রকোপে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা।