নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে কলকাতায় আসা মানুষদের কাছেও মেট্রো পরিষেবা (Metro) হলো গণপরিবহনের লাইফ লাইন। যে কারণে মেট্রো কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন অংশে মেট্রো পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ক্ষেত্রে সেই রকমই একটি সুখবর হলো, টুক করে মেট্রো থেকে নেমেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়া।
বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার বিষয়ে বহুদিন থেকেই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই মুখিয়ে রয়েছেন। অবশেষে এই মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে এবার একটি সুখবর মিলল। আর সেই সুখবর অনুযায়ী, সমস্ত বাধা সরিয়ে খেলা হচ্ছে হলুদ লাইন থেকে। দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চার কিমি রাস্তায় যে জমি দখল ছিল তা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যশোর রোডে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে আশা করা হচ্ছে কলকাতার বাসিন্দারা দুর্গাপুজোর আগেই হয়তো বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা উপহার পাওয়ার জন্য সবকিছু তৈরি হয়ে যেতে পারে। দুর্গাপুজোর আগেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে দুর্গাপুজোর উপহার হিসাবে আসতে পারে এই পরিষেবা। যদিও ঠিক কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হবে অথবা চালু করা সম্ভব তা সম্পর্কে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কিছু জানায় নি।
অন্যদিকে নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার মেট্রোর কাজ আগামী পয়লা বৈশাখের আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেট্রো কর্মীর কথা অনুযায়ী, চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগেই যশোর রোড ও বিমানবন্দর মেট্রো পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। আর এই হলুদ লাইন একবার বিমানবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে গেলেই নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো চড়ে আসতে পারবেন যাত্রীরা। শুধু নোয়াপাড়ায় একবার মেট্রো বদলাতে হবে।
মাটির তলা দিয়ে যশোর রোড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অজস্র নিয়ম মানতে হয়েছে। তবে সমস্ত বাধা সরিয়ে এখন বাধাহীন। অন্যদিকে এরই সঙ্গে সঙ্গে ১৭৭টি বেআইনি কাঠামো রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সেই সকল বেআইনি কাঠামো সরানোর জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং তাও খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে বলেই আশা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর এই সমস্ত বাধা টপকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হলে অনেকটাই খরচ কমে যাবে যাত্রীদের, পাশাপাশি নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর।